Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 5:54 pm

স্বস্তির বৃষ্টিতে আমন ধানের চারা রোপনে ধুম পড়েগেছে

সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট :লালমনিরহাটে ১২৭ মিঃমিঃ বৃষ্টিপাত হয়েছে। স্বস্তির এই বৃষ্টিতে রোপা আমন ধানের নতুন চারা রোপনের ধূম পড়ে গিয়েছে। কৃষি ও কৃষক ফসল চাষে প্রাণ ফিরেছে। গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজন, সতী নদীসহ সকল প্রধান নদী ও শাখা নদীতে উজানি ঢলে টইটুম্বর হয়ে পড়েছে। নদ – নদী, খাল-বিলে নতুন পানিতে প্রাণ ফিরে এসেছে। দেশের বৃহত্তর সেচ প্রকল্পে এবছর সম্পূরক সেচের আওতায় লক্ষ্যমাত্রা নিধারন করেছে ৬৩ হাজার হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি। তিস্তা ব্যারেজের রির্জাভবে প্রায় এক লাখ কিউসেক পানি মজুদ রয়েছে। এই রিজার্ভাবের ধারণ ক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কিউসেক পানি।

লালমনিরহাট কৃষি বিভাগ ও ডালিয়া পানি সেচ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা, ধরলা নদীতে উজানের ঢলে ইটুম্বর হয়ে গেছে। বন্যা হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই। নদ-নদীর পানি শুধুমাত্র তিস্তায় ১০ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিকাল ৩ টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার মাত্র ১০ সেঃমিঃ উপরে ছিল। কাউনিয়া পয়েন্টে ৫১ সেঃমিঃ নিচ দিয়ে, ধরলা নদী শিমুল বাড়িতে বিপদ সীমার ৭৯ সেঃমিঃ, পাটগ্রাম পয়েন্টে ২১৭ সেঃমিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ – নদীতে ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী উপকূলের কৃষি ও কৃষক চাষাবাদে সেচ সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে।
এ বছর ডালিয়া সেচ প্রকল্পের অধীনে ১২টি উপজেলায় ৬৩ হাজার হেক্টর রোপা আমন জমিতে সেচের আওতায় নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করেছে। গত ১৬ জুলাই হতে সম্পূরক সেচ কার্যক্রম চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর ফসলের জমিতে সেচ সুবিধা দেয়া হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে আপাতত সেচ কৃষকের প্রয়োজন হচ্ছে না। প্রয়োজন মত সেচের আওতায় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে। তিস্তা সেচ প্রকল্পের রির্জাভারে প্রায় এক লাখ কিউসেক পানি মজুদ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডালিয়া প্রজেক্টের ডিপুটি জেনারেল এক্সটেন অফিসার কৃষিবিদ অমলেশ চন্দ্র রায়। এদিকে লালমনিরহাট কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবছর রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৮৬ হাজর ৫০০ হেক্টর নিধারণ করা হয়েছে। প্রায় ৪৫ হাজর হেক্টর জমিতে নতুন রোপা আমন ধানের চারা রোপন হয়ে গেছে। একটু বিলম্বে হলেও স্বস্তির বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কৃষক ও কৃষিতে প্রাণ ফিরে এসেছে। কৃষক ও কৃষি শ্রমিক নতুন ধারেন চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পাড় করছে।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//