রাকিবুল ইসলাম তনু,পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর দশমিনায় পারিবারিক ঝামেলার জেরে কাওসার (২২) নামে এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে তার স্ত্রী ফারজানা।
বৃহস্পতিবার(৮ মে )বিকাল ৫টায় দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
আহত মোঃ কাওসার আউলিয়াপুর গ্রামের কামাল হাওলাদারের ছেলে ।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় কাওসারের সাথে পরিচয় হয় ফারজানার। পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রেমে পরিনত তরপর বিবাহ। ফারজানার দ্বিতীয় স্বামী কাওসার। পূর্বের স্বামীর ঔরসে ২ সন্তান ফারজানার। প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে ফরজানা প্রেমের টানে কাওসারকে বিয়ে করে কাওসারের নিজ বাড়ি উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর চলে আসে। আজ রাত ৮ ঘটিকায় ফরজানার বাবার বড়ি রংপুরে যাবার কথা দুঁপুরে খাবার খেয়ে ঘরের পাটাতনে দুইজন শুয়ে ছিলো। দুইজন তর্কবিতর্ক করার এক পর্যায় স্ত্রী ফারজানা স্বামীর চোঁখ বেঁধে পুরুষাঙ্গে চাকুদিয়ে পোচ দেয় কাওসার ডাকচিৎকার করে পাটাতন থেকে নেমে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পরে। বাড়ির লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত কাওসার জানান, ফরজানার সাথে ঢাকায় পরিচয় পরে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে আসি। আমি জানতাম না তার ২টি সন্তান ও স্বামী আছে। আমরা দুই জন দুপুরের খাবার খেয়ে পাটাতনে শুয়ে ছিলাম। আজ স্ত্রী ফারজানার বাবার বাড়ি রংপুরে যাবার কথা। আমাকে বলে আমাকে একটু সময় দাও আমি বলি বল খেলতে যাবো এই কথা বললে আমাকে ওড়না দিয়ে চোঁখ বেঁধে পুরুষাঙ্গে চাকুদিয়ে পোঁচ দেয় আমি রক্ত দেখে পাটাতন থেকে নিচে নেমে অজ্ঞান পরে পরে। জ্ঞানফিরে দেখি আমি হাসপাতালে।
কাওসারের পুরুষাঙ্গ কাঁটার বিষয় সত্যতা স্বীকার করে ফারজানা বলেন, কাওসারের সাথে আমার পরিচয় হবার পর আমাকে নানা ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে আমার বাসার প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল বিক্রি করে বিবাহ করে গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসে। বিবাহের তিন মাসের মতো হয়। আমাকে ঘর থেকে বের হতে দেয়না ওর মা সবসময় আমাকে চোখে চোখে রাখে। আমার জীনবটা নষ্ট করে দিয়েছে। তাই আমি এ কাজ করছি।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান,ঘটনার বিষয় জানা নেই এই শুনলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Discussion about this post