মারফত আফ্রিদী, মিরপুর:
স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে যারা সমালোচনা করেছে তারাই জেল, জুলুম, খুন ও গুমের স্বীকার হয়েছে। শেখ মুজিব গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করেছিল আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই বাকশাল ধ্বংস করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
বুধবার বিকেলে মিরপুর উপজেলাধীন কুর্শা কেএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে কুর্শা ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিল উন্নয়নমূখী আর হাসিনা ছিল অত্যাচারী। যার কারণে আন্দোলনের মুখে হাসিনার পতন হয়েছে। দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। শেখ হাসিনা’র আমলে ২০১৪ সালে বিনা ভোটে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে বার বার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিল।
বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের অনেক নেতা-কর্মী দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি’র হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে মকবুল হোসেন ডিলারকে সভাপতি, তোফাজ্জেল হোসেন লালু ডাক্তার ও আব্দুল খালেককে সহ সভাপতি, মিরাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল কাদের ও উজ্জল হোসেনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আল আমিনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কুর্শা ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।

Discussion about this post