হঠাৎ করে বিএনপির কর্মসূচি পালন এবং পুলিশের উপর অতর্কিত হামলাকে ‘ডাল মে কুচ কালা হে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হঠাৎ করে একটি আকস্মিক কর্মসূচি দিলেন। তাদের হঠাৎ এই কর্মসূচির খবর শুনে বুঝতে পারলাম ডাল মে কুচ কালা হে।
তিনি বুধবার(১৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের কথা শুনেই বিএনপি পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি জানান দিয়েছে তারা মাঠে আছে।
নানক বলেন,আসলে শোকের মাস আগস্ট বড় ধরনের নতুন চক্রান্ত করতেই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। তারই অংশ হিসেবে প্রশাসনের ২৭ কর্মকর্তার উপর হামলা এবং বহু গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।
বিএনপির মহা সচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে নানক বলেন, বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে আওয়ামী লীগের সহ যোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের যদি মোতায়েন করা হতো, তাহলে চন্দ্রিমা উদ্যানে তারা কর্মসূচি পালন করা তো দূরের কথা রাজধানীতে দাঁড়াতেই পারত না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে তারা তেজগাঁওয়ে ডিসি-এডিসির উপর হামলা চালাতে পারতো না। এতগুলো গাড়ি ভাঙচুর করতে পারত না। তারা এই হামলার মাধ্যমে কি বোঝাতে চেয়েছেন? নিজেদের অবস্থা জানান দিতে চান? কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে এটা বঙ্গবন্ধুর দেশ। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তাদের এ ধরনের চক্রান্ত কখনোই সফল হবেনা।সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আমরা হয়তো বিএনপিকে মাঠে মোকাবেলা করতে পারব। কিন্তু ওই হেফাজত ইসলামের মতো মৌলবাদী সংগঠন গুলোকে আমরা মোকাবেলা করতে হলে দলের ত্যাগী এবং যোগ্য নেতাকর্মীকে দলীয় পদে স্থান করে দিতে হবে। তিনি বলেন, নতুন পৃথিবীতে নতুন মৌলবাদীরা যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের মৌলবাদীরা ও হেফাজতের প্রধান তারগেট আওয়ামী লীগ। তারা সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের উপর হামলা চালাতে চেষ্টা করবে। আমাদের সকলকে মৌলবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজার আনামের সভাপতিত্বে দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুর রহমান হ্যাপির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।