উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবু মুসা ছোটন (২৭) কে মঙ্গবার রাত ৮টায় বাড়ির পাশে স্কুল মাঠে ডেকে নিয়ে দূর্বৃত্তরা নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র ও চাইনিজ ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের জামিরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাযায় এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবারের কেউ জানাযায় অংশ গ্রহন করেনি। এই ঘটনায় নেতা কর্মীদের মধ্যে জানাযা নামাজ মাঠে মিশ্রুপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠের রাজনীতিতে তার প্রভাব পড়তে পারে। ছাত্রলী নেতা ছোটন অত্যন্ত জনপ্রিয় ও ভাল মানুষ ছিল। তাঁকে প্রথমে কেউ ছালাম দিতে পারতেন না। ছোটনের মৃত বাবা ভূ-স্বামী (বহু জমির মালিক) ছিলেন। ছোটনের দুই ভাই এসব দেখাশুনা করতেন। এছাড়াও ছোটন ঠিকাদারী সহ ব্যবসা বানিজ্য করতেন। বহু মানুষের কাছে তিনি কয়েক কোটি টাকা পাবেন বলে এলাকার মানুসের মুখে মুখে। অত্যন্ত বিনয়ী স্বভাবের ছিলেন। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রয়েছে তার।
থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ও ভোটমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মুসা ছোটন (২৭) গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ইফতার শেষে রাত ৮ টার দিকে বাড়ির পাশে শ্রুতিধর জামিরবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালষের সামনে টং দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল । এসময় তার জ্ঞাতি ভাতিজা পলাাশ মিয়া (২৮) তাঁকে কথা আছে বলে মাঠে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে বেশ কয়েকজন দূর্বৃত্ত জড়িত রয়েছে। পারিবারিক বিরোধ, অর্থ লেনদেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সবে মিলে তাঁকে হত্যার ক্ষেত্রে তৈরি করে রেখেছিল।
হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য দূর্বৃত্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। ভোটমারী ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে অত্যান্ত জনপ্রিয় ছিল ছাত্রলীগ নেতা আবু মুসা ছোটন। তার জনপ্রিয়তা, বিনয়ী স্বভাব ও পারিবারিক আর্থিক স্বচ্ছলতা জীবনের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post