Print Date & Time : 2 July 2025 Wednesday 4:12 am

হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক অবরোধ চা-শ্রমিকদের

মালিক পক্ষ জানিয়েছে, ধর্মঘটের কারণে প্রতিদিন চা শিল্পের লোকশান হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।

চা-শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে মৌলভীবাজার জেলার অধিকাংশ বাগানে চলছে ধর্মঘট। গতকাল কয়েকটি বাগানে শ্রমিকরা পাতা উত্তোলন করলে ও আজ কাজে যোগ দেননি।

গতকাল বুধবার (২৪আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের লছনা এলাকায় হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন চা-শ্রমিকরা। এ ছাড়া জুড়ী উপজেলার কুলাউড়া-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ঘেরাও করে রেখেছেন শ্রমিকরা।

শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও টি এস্টেটের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে হাজারো চা-শ্রমিক। ফলে শতাধিক গাড়ি আটকে আছে। ঘণ্টাব্যাপী অবরোধে প্রচন্ড গরমে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ। পওে স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে তাহা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ম্রীমঙ্গণ থানান ভারপ্র্পাত কর্মকর্তা হারুন অর রমিদ তালুকদার । সকাল থেকেই জেলার বালিশিরা, মনু, ধলাই, জুড়ী, লংলার অধিকাংশ বাগানে শ্রমিকরা কাজে আসেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানসহ কর্মকর্তারা বাগানে বাগানে শ্রমিকদের কাজে নামার জন্য অনুরোধ করছেন।

মালিক পক্ষ জানিয়েছে, শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে প্রতিদিন চা শিল্পের লোকশান হচ্ছে প্রায়২০ কোটি টাকা।

কালিঘাট চা বাগানের চা-শ্রমিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে তাদের ধোকা দেওয়া হচ্ছে। তারা এ সিদ্ধান্ত মানেন না। নেতাদের কথা আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনতে চাই যে, আমাদের মজুরি বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে ফিরব না।

প্রসঙ্গত, দেশের ১৬৭ চা বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি। বর্তমানে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। গত ৯ আগস্ট এ আন্দোলন শুরু হয়। শুরুতে প্রথম কয়েকদিন কেবল ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। সে সময় মজুরি বৃদ্ধি ও মজুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সাত দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

কিন্তু মালিক পক্ষ এই সময়ের মধ্যে বৈঠক বা সমঝোতায় না আসায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা। এরপর দফায় দফায় বৈঠক করেও এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক সমাধানে যায়নি এই সংকট। কুলাউড়া লোহানী চা বাগানের শ্রসিক নেতা অজিদ কৈরী বলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনতে চাই যে, আমাদের মজুরি বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে ফিরব না।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//আগস্ট ২৪,২০২২//