Print Date & Time : 4 May 2025 Sunday 8:22 pm

হরিণাকুন্ডুতে হরেক রকম পিঠায় উৎসব জমজমাট

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি- প্লেটে নান্দন কিভাবে সাজানো রয়েছে পিঠা। সবাইহাতবাড়িয়েনিচ্ছেনপিঠা। হরেকরকমপিঠার স্বাদে মুগ্ধ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক,  অতিথি ও দর্শনার্থী।

গতকালবৃহস্পতিবারঝিনাইদহেরহরিণাকুÐুসরকারিলালনশাহকলেজেহয় এই আয়োজন। কলেজেরশিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্টলে সাজিয়েছিলেনপিঠা। প্রতিষ্ঠানটিরবার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিকপ্রতিযোগিতার শেষ দিনে বাড়তি আকর্ষণ ছিল এই পিঠাউৎসব।

আনোয়ারসাদাতউপমনামেদ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীনানানরকমপিঠার পসরা সাজিয়েছেনতাদের ‘নকশীপাকান’নামের স্টলে। তার সাথে রয়েছেন সহপাঠী রবিউলইসলাম, শিমুল হোসেন, রাফিন, সামান্তা, ফারজানা, নাসরিন, ঊষা, জেসিকাতন্ময়, ওভিসহআরওঅনেকে। তাদের স্টলে রয়েছেইলিশপিঠা, নকশীপিঠা, ভাপা, ছাঁদ পিঠা, শামুকপিঠা, পাটিসাপটা, শরিষাভর্তা, গ্রিল, মালাই রোলসহ ২৫ রকমেরপিঠা। রাত জেগে পরিবার ও বন্ধুরাবানিয়েছেনএসবহরেকরকমেরপিঠা।

আনোয়ারসাদাতবলেন, রাত জেগে মায়ের সাথে তিনি ৩ রকমেরপিঠাবানিয়েছেন।

 শিক্ষাজীবনেরপ্রথমপিঠাউৎনবতাইএটিতারমাঝেএকটিআলাদাঅনুভূতি ও আবেগেরসৃষ্টিহয়েছিল। সহপাঠী, সিনিয়রশিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অতিথিদের পিঠাখাইয়েছেনএবংনিজেরাও খেয়েছেন। তারাখুবইআনন্দিত।

বাউল সাধক লালন শাহের জন্মভূমিহরিণাকুÐু। তাঁরইনামেপ্রতিষ্ঠাকরাহয়েছেকলেজটি। এবারেরসাহিত্য ও সাংস্কৃতিকপ্রতিযোগিতারমধ্যে ছিল একক অভিনয়, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, লালগীতি, দেশেরগান, হামদ-নাতসহবিভিন্ন লোকজগান। 

আরওছিলকবিতাআবৃতি, কুইজ, জ্হান-জিজ্ঞাসাসহ মন মাতানো নানান সবআয়োজন। আর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিল দৌড়-ঝাপ, চাতকি ও বর্ষানিক্ষেপ।

¯œাতক ও উচ্চ মাধ্যমিকপর্যায়েরশিক্ষার্থীরা নকশীপাকান, লবঙ্গ লতিকা, চিনিযুক্ত কেক, রসমঞ্জুরী, পিঠাবিলাশ, পিঠাবাজার, পৌষালিপর্বণ, রসেরহাড়ি, পিঠা পার্বণ নামে রনয়টিষ্টলে ৮৫ রকমের পিঠার সমাহার সাজিয়েছিলাম। 

এসবপিঠারমধ্যে ভাপাপিঠা, পুলিপিঠা, রাজদুলালি, চিতই, দুধপায়েস, জামাইপিঠাচাঁদ পিঠা, সিমপিঠা, পানপিঠা, বকুলপিঠা, ফুলপিঠা, কদমপিঠা, দুধ গোলাপসহ বাহারি নামের হরেক রকমের পিঠা।

লিমানামেবাংলাবিভাগেরআরও এক শিক্ষার্থী জানান, বান্ধবীদের সাথে রাত জেগে তারাপ্রায় ১০ রকমেরপিঠাবানিয়েছেন। তাদের মায়েরা এসব পিঠা বানাতে সহযোগিতা করেছেন।

পিঠামেলায়আয়োজকদের একজন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদকমহব্বতআলী। তিনিজানান, প্রতিবছর এই উৎসবহয়। এসময়শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিদের মাঝে এক ধরণের মিলনমেলারসৃষ্টিহয়।

এবারনয়টি স্টলে শিক্ষার্থীরা সারিসারি সাজিয়েছে হরেক রকমেরপিঠা। গোটাঅনুষ্ঠানছিলনান্দনিক ও উৎসবমূখর।

উৎসবেশিশুসন্তানকেনিয়েএসেছেনসুনিতাকর্মকারনামে এক নারী। তিনিবলেন,কলেজের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই উৎবেআসেন। এখানেএসেতার ছোটবেলারমা-দাদিদের পিঠা বানানোর কথামনে পড়েযায়। বিভিন্ন স্টল থেকে তিনি কয়েকরকমের পিঠাকিনে খেয়েছেন। 

গ্রামেরহারিয়েযাওয়াঅনেকপিঠার সঙ্গে এই উৎসবনতুনকরেতাকেপরিচয়করিয়ে দিয়েছেবলেওতিনিজানান।

উৎসবেরপ্রদানপৃষ্ঠপোষক ও কলেজেরভারপ্রাপ্তঅধ্যক্ষ শরিফুজ্জামান বলেন, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিকপ্রতিযোগিতাএবংপিঠাউৎসবেবিভিন্ন শ্রেণি ও পেশারমানুষকে সম্পৃক্ত এবংনতুনপ্রজন্মকে বাঙালিয়ানার সাথে পরিচয়করিয়ে দেওয়ারজন্যই এই উৎসব। এটিকরতে পেরে আমরা আনন্দিত। তিনদিনের এই আয়োজন ছিল উৎসব মূখর।

খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য,২৫ জানুয়ারি ২০২৪