কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় ব্যবসায়ী ইসারুল ইসলামের ক্রয় সম্পত্তি জবর দখল ও ঐ সম্পত্তিতে রাতারাতি পাকা দোকান নির্মানের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রাননাশের হুমকি দেয়ায় ব্যবসায়ী ইসারুল ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায় ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালিশংকরপুর মৌজার আরএস ১০১৩ খতিয়ানের ৬৫৩০ নং দাগে রের্কডীয় সম্পত্তির মালিকের কাছ থেকে ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর .০৩২৩০৮ একর জমি দলিলমুলে কিনেন ব্যবসায়ী ইসারুল ইসলাম।
কিন্তু ঐ জমি লাগোয়া সম্পত্তির একাংশের মালিক শাহজাহান আলী আলীর সাথে দখলস্বত্ব নিয়ে ইসারুলের বিরোধ বাধে। এক পর্যায়ে গত ২৪ জুলাই ব্যবসায়ী ইসারুল তার কেনা জমির উপর গেলে প্রতিপক্ষ শাহজাহান তার সহযোগীরা তার উপর চড়াও হয়ে গালাগালি ও প্রাননাশের হুমকি দেয়। এঘটনার পর শাহজাহান আলী প্রভাবশালীদের সহয়তায় ব্যবসায়ী ইসারুলের কেনা সম্পত্তি জবর দখল ও ঐ সম্পত্তির উপর ৫টি পাকা দোকান নির্মান করে। দখলদার ঐ চক্রের কবলে পড়ে ব্যবাসয়ী ইসারুল সম্পত্তি হারিয়ে হেয় প্রতিপন্ন ও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন।
এদিকে ভুয়া দলিল বাতিলে আদালতে মামলা চলমানসহ কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট আদালতে মিস ২৪/২০২৩ নম্বর নালিশী মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে স্ব-স্ব দখলীয় অবস্থানে থাকার নির্দেশ অমান্য করে দাপট খাটিয়ে পাকাপোক্তভাবে সম্পত্তি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাহজাহান আলী।
এরআগেও প্রাননাশের হুমকি দেওয়ায় ২০২৩ সালের ২ ফেব্রæয়ারী শাহজাহানের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম। আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলে ব্যবসায়ী ইসারুলসহ এলাকাবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত শাহজাহানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ব্যবসায়ী ইসারুল ইসলাম জানান, রের্কডীয় সম্পত্তির মালিকের কাছ থেকে দলিলমুলে আমি জমি কিনেছি। কিন্তু ভুয়া দলিল উপস্থাপন করে শাহজাহান আলী আমার কেনা সম্পত্তি জবর দখল করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২৯ জুলাই ২০২৩

Discussion about this post