সাম্প্রতিক দুর্যোগে ফসলহানী ও পিআইসির কাজে অনিয়মের সঠিক চিত্র তুলে ধরার বিপরীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো ও কৃষি বিভাগের দেয়া সকল আজগুবি তথ্য প্রত্যাখ্যান করে সুনামগঞ্জে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে সংবাদ
সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া আবাসিক এলাকাধীন হক কনফারেন্স হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুনামগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব বিজন সেন রায়। এসময় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড চিত্তরঞ্জন তালুকদার,লেখক গবেষক সুখেন্দু কুমার সেন রায়,কবি ইয়াকুব বখত বহলুল,শহীদনুর আহমদ ও কুদরত পাশাসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বিজন সেন রায় বলেন, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরের এবার প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর বোরো ধান আবাদের মধ্যে দিয়ে জেলার কৃষকদের মধ্যে আশার আলো সঞ্চারিত হলেও মৌসুমের শুরুতেই একের পর এক হাওর ডুবির ঘটনা ও শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধে ফাটল দেখা দেয়ায় গভীর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে।
জেলার অনেক হাওরের কৃষক সর্বস্ব হারিয়ে মানেবতর দিন কাঠছে। বাঁধ ভেঙ্গে ফসল তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও জেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য তুলে না ধরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে তামশায় মেতে উঠেছেন।
সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক মন্ত্রী হাওর পরিদর্শনে এসে অনিয়ম দুর্নীতির স্বপক্ষে বক্তব্য দিয়ে হাওরবাসীকে হতাশ করছেন। হাওরে এখনো অর্ধেকের বেশি কাঁচা ধান থাকলেও কৃষি বিভাগ খাতা কলমে ধান কেটে পার্সেন্টিজ বাড়িয়ে কৃষকের সাথে মিথ্যাচার করছেন। বাঁধ ভেঙ্গে একের পর এক হাওর তলিয়ে যাওয়ার যে ঘটনা ঘটছে আমাদের সংগঠনে পক্ষ থেকে প্রতিদিন সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন করা হচ্ছে।এদিকে বাঁধ ভেঙ্গে ও নদীর পান উপচে ছোট বড় ৩১টি হাওরের ১৭ হাজার ৪৭৬ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এই বিপুল সংখ্যক পরিমাণ ধান তলিয়ে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর রহস্যজনক কারনে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য তুলে ধরছেন না। এছাড়াও এখনো হাওরে ৫০% ধান কাটা না হলেও খাতাকলমে ধান কাটছে তারা। ছায়ার হাওরের মোট আবাদের ৪০ ভাগ ধান তলিয়ে গেলেও কৃষি বিভাগ বলছে ৯৫ ভাগ ধান কেটেছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//এপ্রিল ২৬,২০২২//

Discussion about this post