মো.আলাউদ্দীন,হাটহাজারীঃ
হাটহাজারীতে আবদুল মালেক মানিক (৫৮) নামের এক খামারির ৫ টি গরু আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে।
এঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও ২ টি গরু। এর মধ্যে একটি অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এতে অন্তত ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ওই খামারি।
সোমবার (১০ জুন) ভোর রাত তিনটার দিকে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নস্থ হেলাল চৌধুরী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, খামারি মানিক প্রতিদিনের মতো রাতে গোয়াল ঘরে গরু বেঁধে ঘুমাতে চলে যান। শেষ রাত প্রায় ৩ টার দিকে হঠাৎ একটা শব্দ শুনে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে ঘরের দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে দেখেন তার ঘরের সামনে গোয়াল ঘরের টিনগুলো লাল আকার ধারন করেছে। বুঝতে পারলেন তার গোয়াল ঘরে আগুন লেগেছে। কিন্তু বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে নিমিষেই সব শেষ করে দিলো তার।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মানিক জানান, স্থানীয় একটি ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ ও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার দেনা করে কোরবানি হাটে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে গরুগুলো লালন পালন করেছিলাম। পরিকল্পনা ছিলো কোরবানির হাটে গরুগুলো বিক্রি করে সব ঋণ শোধ করবো। আর ঘরের চালটা ঠিক করবো। কিন্তু সেটা আর হলো না। এখন কিভাবে ব্যাংক ঋণের ও বিভিন্ন জনের ধার দেনা শুধ করবো কিছুই মাথায় আসছেনা। আগুন থেকে রক্ষা পেতে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের নাম্বারে ফোন করে না পেয়ে জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়ে সাহায্য চাইলে তারা হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসকে খবর জানাচ্ছেন বললেও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাননি বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর এখনো পর্যন্ত আমাদের কেউ জানাননি। খবর পেলে আমরা অবশ্যই যেতাম, সেবা করাইতো আমাদের কাজ।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সুজন কানুনগো জানান, খবর পেয়ে একটি টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। আসলে গরুগুলো ফ্রিজিয়ান প্রজাতির। আহত দুইটি গরুর মধ্যে একটির অবস্থা সংকটাপন্ন, বাঁচার সম্ভাবনা নাই। বাকী একটি গরু চিকিৎসা চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান। এসময় তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য সহযোগিতা করা হবে বলেও জানিয়েছেন
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//