হাটহাজারী প্রতিনিধিঃ
হাটহাজারীতে মো.মামুনুর রশিদ মামুন (৩২) নামের এক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ.লীগ নেতার উপর হামলার ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নাম্বার ২১।বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকালের দিকে মামলার বাদী মেখল ইউপি সদস্য, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিকটিম মামুন এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন, ১-মো.আব্দুল মোমিন (৩৭), পিতা-মৃত আদুল ওহাব, ২- মো.জমির (৪১), পিতা-মৃত বাদশা মিয়া, ৩- মো. রহিম (২৮), পিতা-দুছ মোহাম্মদ প্রকাশ টুইন্না, ৪- মো.নেজাম (২৯), পিতা-নুরুল বশর প্রকাশ বাইশ্যা, ৫- মো.নজরুল (২৪), পিতা-মৃত বজল আহাম্মদ, ৬- মো.খোকন (৪০), পিতা-মৃত এয়ার মোহাম্মদ, ৭- মো.আব্দুল মজিদ (৩৫),পিতা-মৃত আব্দুল ওহাব, সর্ব সাং মেখল, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মেখল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে ৩ নং ওয়াড মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিবাদীগণ বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে মারযয় নয় ক্ষতিসাধনের অপচেষ্টা করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বিবাদীগণ অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। এসময় বিবাদীগন ভিকটিমের ব্যবহৃত TVS Apache 4V 150 CC মোটর সাইকেলটি ভাংচুর করে অনুমানিক দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এদিকে হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ৩নং বিবাদী রহিম ভিকটিমের প্যান্টের পিছনের পকেটে থাকা নগদ আঠার হাজার টাকাসহ মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এসময় ভিকটিম বাঁচার জন্য চিৎকার করলে ০১ নং বিবাদীর নির্দেশে বাকী বিবাদীগণ ভিকটিমকে উপর্যুপুরী আঘাত করে অজ্ঞান অবস্থায় ঘটনাস্থলে ফেলে চলে যায়।
পরে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভিকটিম মামুন জানান, বিবাদীগণ এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারী এবং ভূমিদস্যু। আর ০১ নং-নিবাদী মো.আব্দুল মোমিন এর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলা চলমান আছে।
মেখল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশ্মি চাকমা বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, গতকাল আহত এক ইউপি সদস্যকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে তাকে মাথায় ৪ টি সেলাইসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো.এমরান হোসাইন বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, অপরাধীদের আটকে পুলিশি অভিযান চলছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post