মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারী (চট্রগ্রাম): জেলার হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চুরি হওয়া বইগুলো চট্টগ্রামের পটিয়াস্থ মোস্তফা পেপার মিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৩০ জুন) সকালের দিকে বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান হাটহাজারী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব শর্মা।
এরআগে গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ৮টার দিকে রাতের দিকে ওই স্কুল থেকে বইগুলো চুরি হয়। এ ঘটনার পর বুধবার দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম।
অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মহসিন রাতের আঁধারে চুরি করে এসব বই বিক্রি করেছে। এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো মামলা করা হয়নি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে একটি ট্রাকে করে প্রায় এক টন বই পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল কয়েকজন যুবক। স্থানীয় কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী চ্যালেঞ্জ করলে তারা উপজেলায় নিচ্ছে বলে জানায়। পরে বই বহনকারী ট্রাকটি হাটহাজারীর দিকে না গিয়ে নগরের দিকে যাত্রা করলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্দেহ বেড়ে যায়।
ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ আরও কয়েকজন সহকারী শিক্ষক বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রশাসনিক ঝামেলায় পড়তে হবে জানিয়ে হুমকি দেন।
অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমাদের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কক্ষ সংকটের কারণে বইগুলো ফতেপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে রাখা হয়েছিল। স্কুলের আসবাবপত্র সরানোর কথা বলে আমার কাছ থেকে ওই রুমের চাবি নেন প্রধান শিক্ষক। এরপর তিনি আমাকে আর চাবি ফেরত দেননি।
তিনি আরও বলেন, কি পরিমাণ বই চুরি হয়েছে সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য, ভিডিও ফুটেজ, ট্রাকের অবস্থান ও অভিযুক্ত শিক্ষকের অসংলগ্ন কথা-বার্তায় বোঝা যাচ্ছে, বই চুরি হয়েছে। ধারণা করছি, প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বই নিয়ে গেছে চোরচক্র। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ চারজন সহকারী ও একজন অফিস সহায়ক, অজ্ঞাত ট্রাক চালকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। “
দৈনিক দেশতথ্য//এল//