হাটহাজারীতে প্রায় ৪ কানি জমির লাউ ক্ষেত রাতের আঁধারে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) ভোরেে দিকে উপজেলার নন্দীরহাটের পূর্বে ১২নং চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ নেহালপুর বিলে এ জঘন্য ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় পথে বসেছেন লাউ চাষী মহিউদ্দীনসহ ওই বিলের ৬/৭ জন কৃষক। তবে সব থেকে বেশি ক্ষতি স্বীকার হয়েছেন কৃষক মহিউদ্দিন। ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্যরা হলেন, কৃষক বাদশা, ইকবাল, শাহেদ, মোজাহের।
শনিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানায়, ওই বিলে মহিউদ্দীন বর্গা নিয়ে চাষ করা প্রায় ১ কানি জমির সব লাউ লতা শুক্রবার দিবাগত শেষ রাতে অথবা শনিবার ভোরের দিকে কে বা কারা একেবারে গোড়া থেকে কেটে দিয়েছে। অথচ ৪/৫ দিন পরেই প্রথমবারের মতো ওই ক্ষেতের ফসল বিক্রি করার জন্য উঠানোর কথা। আশা ছিলো ব্যাংক থেকে নেয়া ঋন, বিভিন্ন জনের থেকে ধার করা কর্জ টাকার কিছুটা পরিশোধ করে একটু হালকা হবেন মহিউদ্দিন কিন্তু এখন উল্টো কর্জের বোঝা আরও বেড়ে গেলো। চোঁখে মুখে অন্ধকার দেখছেন তিনি। এছাড়াও ওই বিলে লাউ চাষ করেছিলেন কৃষক বাদশা ১০ গন্ডা জমিতে, ইকবাল ১০ গন্ডা, শাহেদ ও মোজাহের প্রায় ১ কানির মতো।তাদের জমির লাউ লতাও কম বেশি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এবং পেঁপে চাষী আজিজুল হকের কয়েকটি পেঁপে গাছও গোড়া থেকে কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা । বেলা বাড়ার সাথে সাথে এমন ন্যাক্কারজনক খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আশে পাশের নারী পুরুষ অনেকেই ছুটে আসেন এমন বর্বরতার স্বীকার লাউ ক্ষেতগুলো দেখতে। তাদের মধ্যে পাশের এলাকার সুকুমার ঘোষ বলেন, আমার জন্মের পর গত ২৫/৩০ বছরে এখানে এমন ঘটনা আমি দেখিনি শুনিনি। ফটিকছড়ি থেকে আত্নীয় বাড়িতে বেড়াতে আসা সুনিল কান্তি দে জানান, মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা রেষারেষি থাকতেই পারে, কিন্তু এভাবে এতোগুলো জমির ফসলের সাথে এ কেমন শত্রুতা। এদিকে ঘটনা জানাজানির পর উপজেলা কৃষি অফিসে জানানো হলে, মাঠ কর্মী এসে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে গেছে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে কোথাও কোনো অভিযোগ করেছেন কিনা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মহিউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে কারো কোনো শত্রুতা নাই, কে এমন কাজটা করেছে আমি জানিনা, কার জন্য অভিযোগ করবো। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার কে ঘটনাটি জানাবো
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//