হাটহাজারীতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখা।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বাদ জুমা হাটহাজারী পৌরসভার নুর মসজিদ চত্তরে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় অর্থসম্পাদক আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, ইহুদীবাদি অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল ফিলিস্তিনী মুসলমানদের উপর ভয়াবহ জুলুম চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনীদের আবাসভূমি অবৈধভাবে দখল করে তাদেরকে বাস্তুচ্যুত করে রেখেছে। একই সাথে তাদের উপর ধারাবাহিক নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এটা শুধু মুসলিম নিপীড়নই নয়, বরং ভয়াবহ পর্যায়ের মানবতাবিরোধী অপরাধও।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বছরের পর বছর নানাভাবে ইসরায়েলের কাছে নির্যাতিত হচ্ছে ফিলিস্তিনের জনগণ। তাদের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। তাদের এমন কর্মকান্ডে পশ্চিমা দেশগুলো নীরব রয়েছে। সারা বিশ্বে যত মুসলিম দেশ আছে আমাদের উচিত এসময় ফিলিস্তিনদের পাশে দাঁড়ানো । আজ আমরা মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছি। ১৯৪৮ সাল থেকে তারা ফিলিস্তিনের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। এমনকি রোজার সময়েও তারা আক্রমণ করে নিজেদের শক্তিশালী প্রমান করতে চায়। বক্তারা এসময় ফিলিস্তিনের ওপর সকল নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান।
এ সময় সমাবেশে ফিলিস্তিনের পতাকা, ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি পোশাক কেফিয়্যে, বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে হুশিয়ারি দিয়ে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে অংশগ্রহনকারীরা ‘নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর’, ‘লাব্বাইক লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আকসা’, ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক-ইসরায়েল নিপাত যাক’ ‘ইসলামের শত্রুরা হুশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ শোয়াইব জমিরী।
হাটহাজারী নূর মসজিদের সম্মুখস্থ চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে অনুষ্ঠিত মিছিলপূর্ব সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন কর্মসূচী বাস্তবায়ন কমিটির সচিব মাওলানা এমরান সিকদার।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মীর ইদরীস, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জাফর আহমদ, মুফতি মুহাম্মদ গড়দুয়ারী, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী, ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা হাফেজ সায়েম উল্লাহ, মাওলানা ইয়াসীন মাদার্শাহী প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন সহকারী মহাসচিব মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পদাক আলহাজ্ব মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা কারী জহিরুল হক, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা নসিম উদ্দীন, মাওলানা আলী আকবর, মাওলানা জুনায়েদ বিন ইয়াহইয়া, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা হাফেজ আবদুল মাবুদ, মাওলানা আসাদ উল্লাহ, মাওলানা শাহ জাহান, মাওলানা আবু বকর, মাওলানা আবুল হাসেম প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি হাটহাজারী নূর মসজিদ এলাকা থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক দিয়ে বাসস্ট্যান্ড-কলেজ গেইট-কাচারি সড়ক হয়ে ডাকবাংলো চত্বরে এসে শেষ হয়।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//অক্টোবর ১৩,২০২৩//