Print Date & Time : 5 July 2025 Saturday 6:33 pm

হাটহাজারীতে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ

মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারী: হাটহাজারীতে রাস্তায় মাটি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো. এমরান নামে এক যুবক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত লিয়াকত আলীর দুই ছেলে আবদুল্লাহ জোবায়ের, তার ভাই আবদুল্লাহ জোনায়েদ এবং তাদের চাচা আবুল হাশেম বিএস ১৭৩ দাগের জায়গায় বিদ্যমান সর্বসাধারণের চলাচলের রাস্তায় মাটি ভরাট করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। সপ্তাহ খানেক আগে চলাচলের রাস্তায় মাটি ফেলার কারণে বেশ কিছু সংখ্যক পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। মাটি সরিয়ে চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দিতে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও তারা তা মানছেন না।

লিখিত অভিযোগে এমরান অভিযোগ করেন, শুধু বিএস ১৭৩ দাগের রাস্তা নয়, পাশ্ববর্তী বিএস ১০৫ দাগের চলাচলের রাস্তায় বাড়ির ফটক নির্মাণ করে আশপাশের আরও কয়েকটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন অভিযুক্তরা।

এলাকায় প্রভাবশালীহ ওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী অসংখ্য পরিবার। একাধিকবার সালিস ডেকে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টাও করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবু তারা সরকারি রেকর্ডভুক্ত চলাচলের রাস্তার জায়গা নিজেদের দাবি করে দখলযজ্ঞ চালাচ্ছেন। দেশের কোন আইনকানুনকে তোয়াক্কা করছেন না।

ভুক্তভোগী এমরান বলেন, ‘চলাচলের রাস্তায় মাটি ফেলার কারণে ৭-৮ দিন ধরে আমার পরিবারসহ বাড়ির অসংখ্য মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। আমাদের সন্তানেরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। নামাজ আদায়ের জন্য বয়োজ্যৈষ্ঠরা মসজিদে যেতে পারছেন না। মাটি সরিয়ে নিতে বললে লিয়াকত চেয়ারম্যানের দুই ছেলে এবং তাদের চাচা আবুল হাশেম আমার ওপর চড়াও হচ্ছেন। আমাকে মারধরের চেষ্টা করছেন। এলাকাবাসীর পক্ষে আমি প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে প্রয়াত চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর ছেলে আবদুল্লাহ জোবায়েরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে আবুল হাশেমের বক্তব্য পাওয়া গেছে। তিনি উল্টো এমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘চলাচলের রাস্তায় আমরা মাটি ফেলেছি বটে। কিন্তু এর আগে একই রাস্তায় বাঁশ গেড়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন এমরান।’

চলাচলের রাস্তায় বাঁশ গেড়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে মো. এমরান বলেন, ‘আমি বাড়ির নির্মাণকাজের জন্য চলাচলের রাস্তায় পর্যাপ্ত জায়গা রেখে বাঁশ গেড়েছি। এ কারণে কারও চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে না। লিয়াকত চেয়ারম্যানের ছেলে এবং তার ভাই আবুল হাশেম জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার মুখে মাটি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।’

দৈনিক দেশতথ্য//এল//