হাটহাজারীতে ইফতেকার হাসান (১৮) নামের এক সিএনজি চোরাকারবারিকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। সে মুহুরীহাট এলাকার বদিউল আলম ওরফে বদি ছেলে।
শনিবার (২ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার মুহুরীহাট বটতলস্থ হযরত মোমেন শাহ সিএনজি গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
এসময় ওই গ্যারেজ থেকে ৫ টি চোরাই সিএনজি অটোরিকশাও উদ্ধার করা হয়।

র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মো.নুরুল আবছার রবিবার আটকের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
র্যাব সূত্র জানায়, গত কিছুদিন যাবৎ চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী সহ আশ-পাশের বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি চুরির ব্যাপারে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর অভিযোগ আসছিলো এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকজন এরুপ সিএনজি চুরির বিষয়ে সংবাদ দিত। ভুক্তভোগীদের এরুপ তথ্য মোতাবেক চোরাই সিএনজি উদ্ধার ও জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রামের গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০২ জুলাই ২০২২খ্রিঃ আনুমানিক ১৪৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ওই গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ইফতেকার হাসান কে আটক করে। পরবর্তীতে ধৃত আসামীর স্বীকারোক্তি ও তার দেখানো মতে উক্ত গ্যারেজ হতে চোরাই ও রেজিষ্টেশন নাম্বার বিহীন ০৫টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ০৫টি চোরাই সিএনজির আনুমানিক মুল্য ৩০,০০,০০০/-টাকা।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত চোরাকারবারী হাসান জানায়, উল্লেখিত সিএনজি গ্যারেজটি সে নিজে ও তার বাবা বদিউল আলম প্রকাশ বদি পরিচালনা করে আসছিলো। এবং উদ্ধারকৃত সিএনজিগুলো চোরাই সিএনজি বলেও স্বীকার করে সে। চোরাই সিএনজি জেনেও সে সিএনজিগুলি চোরদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে তার গ্যারেজে রেখেছিল। উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামীর বাবা বদিউল আলম ওরফে বদি ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ফটিকছড়ি থানায় ১৩ মামলার ধারা ৩৭৯ পেনাল কোড এর আসামী।
স্থানীয়রা জানায়, আনুমানিক ২ মাস পূর্বে আসামীর বাবা বদিউল আলম ওরফে বদিও চোরাই সিএনজি রাখার অপরাধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত সিএনজিগুলো পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//৩ জুলাই-২০২২//

Discussion about this post