হাটহাজারী পৌরসভায় সহকারী কমিশনার ভূমি মো.আবু রায়হানকে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-১ শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
রাত ৯টার দিকে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রশাসক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রায়হান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান জনি। হাটহাজারী পৌরসভা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায়, উক্ত পৌরসভার কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এরধারা ৪২ এর উপধারা (১) অনুযায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রায়হানকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির পক্ষে উপসচিব মো. আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-১ শাখার বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ ও সংশ্লিষ্ট বিধি বিধান অনুযায়ী নিয়োগকৃত প্রশাসক উক্ত পৌরসভার সার্বিক দায়িত্ব ও কর্মকাণ্ড পালন করবেন। এছাড়া তিনি নিজ পদ হতে বদলি হলে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করবেন।
এদিকে হাটহাজারী পৌরসভা প্রতিষ্ঠার প্রায় ১১ বছরেও পৌরসভা নির্বাচন না হওয়ায় পৌরবাসি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
জানা যায়, ৯৯ সালের ৩০ শে জুন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকা কালে হাটহাজারী স্কুল মাঠে এক জনসভায় হাটহাজারী সদর ইউনিয়নকে পৌরসভায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তন হয়ে বিএনপির নেতৃত্বধীন জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে তা আর হয়নি। পরে ২০০৯ সালে আবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এক প্রজ্ঞাপনে হাটহাজারী সদর ইউনিয়নকে পৌরসভায় প্রথমে গ তে উন্নীত করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ তে খ এবং ২০১৮ তে ক তে উন্নীত করে বর্তমান সরকার। আইন অনুযায়ী পৌরসভা ঘোষণা হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার আইন থাকলেও কিন্তু দীর্ঘ ১১ বছর পার হলেও এখনও পৌরসভার নির্বাচন হয়নি।
ইউনিয়ন পরিষদ থাকাকালে যে সব ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি রয়েছে, তাদের বর্তমানে পৌর সহায়ক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, এ ছাড়া এসব জনপ্রতিনিধি ছাড়াও আরো কয়েকজনকেও পৌর সহায়ক সদস্য হিসেবে নেওয়া হয়। এসব সহায়ক সদস্যদের নিয়ে বিগত ১১ বছর ধরে চলছে হাটহাজারী পৌরসভার কার্যক্রম।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, ভূমি অফিসের কাজ যেমন জটিল তেমনি পৌরসভার জনসম্পৃক্ত কাজ আরও খটকালো। ফলে এক ব্যক্তির দ্বারা উভয়দিক সামলানো অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে। এছাড়া স্থানীয় জনসাধারণ যেমন হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হবে, তেমনি উভয় অফিসে ঘুষের প্রবনতাও বেড়ে যাবে। এসব কিছু থেকে পরিত্রান পেতে একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিংবা প্রশাসক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে স্থানীয় জনসাধারণ।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post