চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে মেশিন আছে এক্সপার্ট নেই। ডাক্তার আছে মেশিন নেই । এম্বুলেন্স আছে চালক নেই। এক্সরে ও ইসিজি মেশিন আছে ফিল্ম নেই। আল্ট্রাসনোগ্রাফী মেশিন আছে এক্সপার্ট নেই। সর্বত্র নেই নেই অবস্থা বিরাজ করায় বলা যায় হাসপাতাল আছে চিকিৎসা নেই।
হাসপাতালটিতে নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছে। তবে কাজ করার মতো যন্ত্রপাতি না থাকায় তারা টর্স মেরে দেন চিকিৎসা। চোঁখের কনসালটেন্ট নেই। ৩/৪ বছর আগে যখন ছিল তখন চোঁখ পরীক্ষার প্রধান মেশিন ছিল টর্চ লাইট। সার্জারী বিশেষজ্ঞ নেই, এনেস্থিসিয়া দেওয়ার মেশিন মেশিন অকেজো। তাই এর সাথে সম্পর্কিত চিকিৎসা আছে এই হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছেনা। এক্স-রে (x-ray) মেশিন আছে, জীন এক্সপার্ট মেশিন আছে যা শুধু যক্ষা রুগীদের জন্যই প্রযোজ্য। অন্য রোগের জন্য ইসিজি করার ফ্লিম নেই ।
এক্সপার্টের অভাবে এবং দীর্ঘ ১০/১২ বছর যাবৎ অকেজো থাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাফী মেশিনটিও সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে ।
অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, আবুল খায়ের গ্রুপ , চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও হৃদয়বান ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় । প্রতিটা সীটে অক্সিজেন সংযোগ রাখা হয়েছে । জরুরী ক্ষেত্রে রুগীকে অক্সিজেন দেয়ার জন্যেই এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ।
এ যাবৎ চারটি এ্যাম্বুলেন্স সরকার থেকে দেয়া হয়েছে তারমধ্যে একটি ২৫/২৬ বছর পূর্বেই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে । এভাবে আরও দু’টিও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। গত ২৪ এপ্রিল `২২-এ আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম , উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান নুরুল আলম বাসেক , হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম , হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সুরজিত দত্ত সহ আরও অনেকের উপস্থিতিতে একটি এ্যাম্বুলেন্সের চাবি প্রদান করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি কিন্তু দুর্ভাগ্য যে ওই পদের ড্রাইভার বা চালকও নাই । দীর্ঘদিন ধরে ড্রাইভারের পদটিও শূন্য রয়েছে । চালক না থাকার ফলে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে এ এ্যাম্বুলেন্সটিও আগের ৩টির মত অবস্থা হতে বেশী সময় লাগবেনা বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন সচেতন জনগণ ও সেবা গ্রহিতারা । এছাড়া এম এল এস এস পদ সংখ্যা ৯টি তার ৬টি পদই শূন্য । ফার্মাসিষ্ট পদ -৭টি তারও ৬টি পদই শূণ্য বা খালি পড়ে আছে । এসব সমস্যা সমাধানে স্থানীয়রা যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুরজিৎ দত্ত এ দেশতথ্য প্রতিবেদক কে জানান, বিভিন্ন পদ খালি থাকা সত্ত্বেও সাধ্যমত সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন এ স্বাস্থ্য কেন্দের কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। এছাড়াও প্রত্যন্ত এলাকার রুগীদের সেবা প্রদানের জন্য পুরা উপজেলায় ৩৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে ২০,২০২২//

Discussion about this post