মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারী
হাটহাজারীতে রাস্তার দুই পাশের সরকারি সম্পদ দখলের মহোৎসব চললেও রহস্যজনক কারনে নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ সরকারি সম্পদ রক্ষায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহন না করায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা কানাঘুষা চলছে।
জানা যায়, গত ৮/১০ দিন ধরে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া মহিলা মাদ্রাসার উত্তর পাশে স্থানীয় আতাউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ড্রাম ট্রাক যোগে চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্ব পাশের সওজের জায়গা দখলে নিতে ভরাট কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে নাজিরহাট গণকবরের পশ্চিম পাশের পানি চলাচলের পথ জলাশয় ভরাট করছে ওই এলাকার টিপু নামের এক ব্যক্তি।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে উল্লেখিত দুই স্থানে দাপটের সাথে রাতে দিনে ড্রাম ট্রাক যোগে মাটি বালি ফেলে সরকারি সম্পদ দখল করছে এ তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানালেও অজ্ঞাত কারনে তারা নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নাকি এসব সরকারী সম্পদ দখল করা হচ্ছে। যার কারনে লিজ নিয়ে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে বলেও বড় গলায় দাবি করেন অনেক দখলকারীরা। অপরদিকে স্থানীয় এসব অবৈধ কাজের তথ্য জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দখলরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
এ বিষয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু আহসান মো.আজিজুল মোস্তফা কে বিষয়টি জানালে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান এ প্রতিবেদক কে।
তার ২ দিন পরও সমানতালে ভরাট কাজ অব্যাহত থাকার বিষয়টি জানিয়ে বিষয়টির ব্যাপারে দুই তিন দিন পূর্বে ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেছিলেন, কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা পুনরায় জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, “ঘটনাস্থলে তিনি লোক পাঠিয়েছিলেন। ছবি তুলেছেন ভিডিও করেছেন।” তিনি আরো জানান, তার কাছে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নাই। সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন জনের কাছে দপ্তরে গিয়েও হাটহাজারীতে কারো কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান দৈনিক আজাদী কে জানান, যেহেতু সম্পদগুলো (সওজ) সড়ক ও জনপদ বিভাগের সেহেতু তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে সাহায্য চাইলে আমরা সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য সবসময় প্রস্তুত আছি। সওজ কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চেয়ে না পাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সওজের কেউ আমার কাছে সাহায্য দূরে থাক একটা ফোন করে যোগাযোগও করেননি।
উল্লেখ্য , পৌরসভার সুবেদার পুকুর পাড়ের, মেখল ইউনিয়নের ভানজইন ব্রীজের পর থেকে ইছাপুর বাজার পর্যন্ত চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক মহাসড়কের দুইপাশের এবং হাটহাজারী নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশের সরকারি জায়গাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশের মুল্যবান জায়গাগুলো ভরাট করে দখলে নিয়ে নিচ্ছে স্ব স্ব এলাকার ভূমিদস্যুরা।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post