পাটগ্রাম লালমনিরহাট সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন ‘ভারত বলে তাঁরা আমাদের বন্ধু দেশ। ফেলানীর বিচার এখনো পেলাম না। আরো অসংখ্য সীমান্তে হত্যার বিচার পাইনি। ভারতকে আহŸান জানাবো অন্তত এই হত্যার (হাসিনুর হত্যার) বিচারটা করে প্রমাণ করেন আপনারা আমাদের বন্ধু। মুখের কথায় বন্ধুত্ব হয়না। বন্ধুত্বের জন্য ভালোবাসা বিনিময় করতে হয়, দায়িত্ব নিতে হয়।’
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪ টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে গত ১৬ এপ্রিল বিএসএফের গুলিতে নিহত হাসিনুর ইসলামের পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে বাড়িতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আপনাদেরকে ভালোবাসবো। আপনাদের দায়িত্ব হলো এদেশের (বাংলাদেশের) মানুষকে ভালোবাসা। আপনারা (ভারত) যদি ভালোবাসেন, তাহলে এদেশের (বাংলাদেশ) মানুষ ভালোবাসার মর্যাদা দিতে যানে। যদি বিপরীতটা করেন, সেটাও মনে রাখতে হবে। এদেশের মানুষ ভাঙ্গে কিন্তু মচকায় না। লড়াই করতে জানে, আপোষ করতে জানে না। আমরা চাই পৃথিবীর একটা সভ্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ- ভারত উভয়ে সৎ প্রতিবেশী হোক। সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে উঠুক। নিহতের পরিবার যদি সন্তান হত্য্রা ন্যায় বিচার পায়, তাহলে তাদের আত্মা শান্তি পাবে। তাহলে সীমান্তে এই ধরনের আর অপকর্ম (হত্যা) আর হবে না।’
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আগে সরকার ছিল সীমান্ত হত্যা তাঁরা দেখত না। তাদের চোখে ছিল স্টিলের গøাস। আমরা বর্তমান সরকারকে বলব- ইতিমধ্যে আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ আপনারা গ্রহণ করেছেন। সীমান্ত হত্যার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন। ১৮ কোটি মানুষ আপনাদের সাথে থাকবে। সীমান্তের মানুষ শান্তি ও নিরাপদে বাঁচতে চায়। স্বাধীন দেশের মাটিতে হালচাষ ও নিসংকোচে চলাফেরা করতে চায়। সরকারের উদ্দেশ্যে ড. শফিকুর রহমান বলেন, হত্যাকাÐ হয়েছে আমাদের দেশের মাটিতে। নিয়ে গেছে লাশ ভারতে। হত্যাকাÐের বিচার হতে হবে বাংলাদেশে। আপনারা উদ্যেগ নেন। জামায়াতে ইসলামী এ পরিবারের সাথে থাকবে। ন্যায্য দাবি (বিচার) আদায়ে একসাথে কাজ করবে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে তিনি নিহত হাসিনুরের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে শান্তনা দেন ও আর্থিক সহায়তা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহের, লালমনিরহাট-১ আসনের জামায়াত মনোনিত সদস্য প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম রাজু, হাতীবান্ধা উপজেলা আমির হাসেন আলী, পাটগ্রাম উপজেলা আমির হাফেজ শোয়াইব আহমেদ ও পাটগ্রাম পৌর জামায়াতের আমির সোহেল রানা ও নিহত হাসিনুরের বাবা জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

Discussion about this post