সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট ।।লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে উত্তরাঞ্চলে প্রথম সায়লো নির্মাণ হতে যাচ্ছে।খাদ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালকের সম্ভাব্য সায়লো নির্মানের স্থান পরিদর্শন।
শনিবার বিকালে সরকারি ছুটির দিনে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা খাদ্য দপ্তরের প্রস্তাবিত সায়লোর জায়গা পরিদর্শন করেছে। এই সায়লো নির্মাণ হলে রংপুর অঞ্চলের মানুষের জন্য শতভাগ খাদ্য শস্য মজুদ রাখা যাবে। আর কখনো যেন, উত্তরের কোন জেলায় মঙ্গা নামের খাদ্য সংকট ফিরে আসতে না পারে তার চিরস্থায়ী সমাধানে লাখ লাখ মেঃটন ধারণ ক্ষমতার খাদ্য শস্য মজুদের সায়লো নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই বিশেষায়িত খাদ্য শস্য মজুদের গোডাউন নির্মাণে কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয হবে। দেশে প্রথম কোন অত্যাধুনিক সায়লো হবে এটি।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের মানুষের খাদ্য শস্য উত্তরাঞ্চলে সব সময় মজুদ রাখতে এই সায়লো নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই সায়লো নির্মাণ হলে, কৃষক তার উৎপাদিত ধান ন্যাযমূল্যে সরকারি গোডাউনে বিক্র করতে পারবে। কয়েক লাখ মেঃটন ধারণ ক্ষমতার হবে প্রতিটি সায়োল। অত্যাধুনিক এই সায়লো নির্মাণে রস্থান পরিদর্শনে শনিবার খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা এলএসডি পরিদর্শন করেছে। এই উপজেলায় পূর্ব নিধারিত একটি ফাঁকা মাঠে সায়লো নির্মাণ হবে।এসময় রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুল আলম, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শরিফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সায়লো হচ্ছে বিশেষায়িত খাদ্য মজুদের গোডাউন। এই ধরণের গোডাউন উত্তরাঞ্চলে নেই। সায়লো নির্মাণে কয়েক শত কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানা গেছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১৮ সেপ্টেম্বর-২০২২