মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারীঃ
প্রকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে সংগৃহীত মা মাছের ডিম থেকে রেনু ফোটানোর পর তা গত শুক্রবার সকাল থেকে বিক্রয় শুরু করেছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। তবে রেণু বিক্রির মৌসুমে ঈদ উল আযহা হওয়ায় অনেক রেণু পোনা ব্যবসায়ী কোরবানি ঈদের পশু নিয়ে ব্যস্ত থাকায় হালদা পাড়ে এবার ক্রেতা সমাগম অনেক কম বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবার প্রতি কেজি রেণু ৮০ হাজার টাকা দরে বেচাকেনা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলার মাছুয়াঘোনা, মদুনাঘাট, শাহ মাদারী ও রাউজান উপজেলার বিনাজুরীর আইডিএফ হ্যাচারির বেশ কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারী ও রেণু উৎপাদনকারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে হালদার পাড়ের রেণু বিক্রয়স্থলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্যচাষী ও মৎস্য খামারীরা আসতে শুরু করে। এবার নদীতে শেষ তিথিতে মা মাছ ডিম ছাড়ার কারণে মাছ চাষিরা নিজেদের পুকুরে রেণু দেবে কিনা এই শঙ্কায়ও রয়েছে মৎস্যচাষী ও মৎস্য খামারীরা।
শেষ মৌসুমে নদীতে মাছ ডিম দেবে এই বিষয়টি ছিল অনেকের ধারণার বাইরে। বিগত সময়ে পাঁচটি জো/তিথি চলে গেলেও অনুকূল পরিবেশ না পেয়ে মা-মাছ ডিম ছাড়েনি। শেষ জোতে ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ পেয়ে গত ১৯ জুন মধ্যরাতে নদীতে মা-মাছ ডিম ছেড়েছিলো। এবার যে মা মাছ নদীতে বেশি ডিম ছাড়বে তা ডিম আহরণকারীদের ধারণার বাইরে ছিলো। অধিক ডিম ছাড়ার ফলে হ্যাচারিতে কুয়া সংকটের কারণে অনেকে ডিম সংগ্রহ না করে নদী থেকে উঠে এসেছিলেন। আইডিএফ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আন নুর জানান, হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নের নয়াহাট এলাকার আলী আকবর নামে এক ডিম সংগ্রহকারী ৮০ হাজার টাকা দরে ৮০০ গ্রাম রেণু বিক্রি করেছেন।
বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মৎস্য চাষী, মৎস্য ব্যবসায়ী ও খামারীরা রেগুগুলো কিনে নিয়ে পোনায় পরিণত করে বিক্রি করেন। আবার কেউ কেউ তাদের নিজস্ব পুকুর বা জলাশয়ে চাষ করে।
শাহ মাদারী হ্যাচারির তদারককারী ডিম আহরণকারী মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, এবার যেহেতু ডিম বেশি হয়েছে সেহেতু রেণুর দাম তুলনামূলক কম হবে এটাই স্বাভাবিক। অনেক রেণু পোনা ব্যবসায়ী, কিংবা মাছ চাষি কোরবানির গরু ব্যবসার সাথে জড়িত। তাই তাদের এবার রেণুর ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই। তবে যে সব ডিম আহরণকারীর নিজেদের পুকুর রয়েছে তারা তাদের পুকুরে বৃহস্পতিবারই রেণু ছেড়েছেন।
দৈনিক দেশতথ্য// এইচ//

Discussion about this post