অবশেষে হালদা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আনাসের (১৪) লাশ ভেসে উঠেছে।
শনিবার(০৮ অক্টোবর) সকালের দিকে হালদা নদীর গড়দুয়ারা ৯ নং ওয়ার্ড এলাকার অংশে স্থানীয়রা লাশটি ভাসতে দেখে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে নদীর পানিতে পড়ে যাওয়া ফুটবল তুলতে নদীতে নেমে নিখোঁজ হযেছিলো শিক্ষার্থী আনাস।
নিহত আনাস গড়দুয়ারা ইউনিয়নস্থ ৭নং ওয়ার্ডের হাজী দুলা মিঞা সওদাগর বাড়ির প্রবাসী মোহাম্মদ আবু তাহেরের পুত্র।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতবার বিকেলে গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চেংখালী খালের মুখস্থ স্লুইস গেট এলাকায় হালদা পাড়ে ফুটবল খেলার সময় বল নদীতে পড়ে গেলে তা আনতে গিয়ে তলিয়ে যায় মাদরাসা শিক্ষার্থী আনাস।
ঘটনার পর পর হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তল্লাশি অভিযান স্থগিত করা হয়। আবার শুক্রবার নগরীর আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন থেকে আসা চার সদস্যের একটি ডুবুরি দল সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপর চালিয়েছিলো। কিন্তু নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরে শনিবার সকালের দিকে স্থানীয়রা ওই এলাকায় হালদা নদীতে তলিয়ে যাওযা আনাসের লাশ ভাসতে দেখেন। পরে ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের খবর দিলে তারা স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। নিখোঁজ আনাস পূর্ব দেওয়ান নগরের ১১ মাইল এলাকার শাহ অলিউল্লাহ ইনস্টিটিউট নামে একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে দীর্ঘদিন ধরে তার মায়ের সঙ্গে ১১ মাইল এলাকার উম্মে মঞ্জিলে নানাদের ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলো। গতকাল শুক্রবার হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.শাহিদুল আলম প্রবাস থেকে ছুটে আসা পুত্রহারা পিতাকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে যান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গতকাল শুক্রবার ভোরে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে নগরীর আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন থেকে ৪ সদস্যের একটি ডুবুরি দল এসে সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হালদা নদীতে তল্লাশি চালিয়েও নিখোঁজ আনাসের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি । তবে শনিবার সকালে লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা।
হাটহাজারী ফাযার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ শাহাজাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
জা//দৈনিক দেশতথ্য//অক্টোবর ০৮,২০২২//

Discussion about this post