মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারীঃ
এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হাটহাজারীর হালদা নদী থেকে সাড়ে তিন হাজার মিটার অবৈধ ঘেরা জাল জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৮ মার্চ) গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হালদা নদীতে বার বার অভিযান চালানোর পরও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না অবৈধ উপায়ে মাছ শিকার। হালদা নদীর আশ পাশের এক শ্রেণির অসাধু মাছ শিকারিরা অবৈধ উপায়ে মাছ শিকারে যেনো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের একের পর এক অভিযানে অবৈধ ঘেরা জাল জব্দ করার পরও তাদের অপতৎপরতা কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না।
স্থানীয় এবং হালদার সাথে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বললে তারা জানান, অবৈধ জাল জব্দ ও মাছ শিকারের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনলে হয়তো তাদের অপতৎপরতা রোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি জেলেদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করাটাও জরুরি।
এদিকে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে শুক্রবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত হালদা নদীর গড়দুয়ারা ও উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশ এবং রাউজান সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭ টি অবৈধ ঘেরাজাল প্রায় ৩৫০০( সাড়ে তিন হাজার) মিটার ঘেরা জাল জব্দ করেন।
এসময় আইডি এফ কর্মকর্তা , সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্যগণ এবং উপজেলা প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবীগণ ও হালদা ডিম সংগ্রহকারী সমবায় সমিতির সদস্যগণ অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post