রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর পৌর শহরের হোটেল-রেষ্টুরেন্টে কলস ও বালতিতে পানি সরবরাহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন মোহাম্মদ নুর হোসেন ।
গত প্রায় ২৫ বছর ধরে কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এভাবেই দোকানে দোকানে ভাঙা ভ্যানে করে , পানি টেনে চলে তার জীবন সংগ্রাম । তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে তার ছোট্ট একটা সংসার , ১৬ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে ওসমান লিভার রোগে না ফেরার দেশের যাত্রী হয়েছেন ৪ বছর আগে। বালতি ও কলস প্রতি ৫ টাকা করে পান তিনি। গভীর রাতে যখন ক্লান্ত ও অবসন্ন শরীরে বাড়ি ফেরেন তখন গুনে দেখেন তার সারাদিনের আয় দু’/ আড়াইশত টাকা। সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকায় বছরের বেশিরভাগ সময় ভাত খাওয়া হয়না তার।
দুপুরে পানি দেওয়ার কাজে ব্যস্ত থাকায় আর বাড়ি ফিরতে পারে না, বেশীরভাগ সময় রুটি ও চা হয় তার দুপুরে খাবার । নিজের সম্পত্তি না থাকায় পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডে সরকারি সম্পত্তিতে খুপড়ি ঘরে বসবাস করেন নুরু মিয়া । মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি। খালি পা,ছেঁড়া-ময়লা জামাকাপড় নিয়ে পানি টেনে এভাবেই দিনের পর দিন বছরের পর বছর আর যুগের পর যুগ চলছে নুর হোসেনের জীবন-সংগ্রাম
মোহাম্মদ নুর হোসেন জানান,জীবনে অনেক কষ্ট করেছি, মানুষের বাসায় বাসায় দোকানে পানি টেনে দেই এবং কলস প্রতি আমাকে টাকা দেওয়া হয় আমি আমার স্ত্রী সন্তান নিয়ে পানি টেনে যা টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চালাই, আমার নেই থাকার কোনো স্থায়ী বাস স্থান আমি এখন যেখানে থাকি সেটা সরকারি একটা জমির উপরে যেখানে টিনের একটি ঝুপড়ি ঘর তুলে থাকি,মাঝে মধ্যে যেদিন অসুস্থ থাকি সেদিন পানি টানতে পারি না আর টাকাও রোজগার হয় না।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post