দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩৬, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে এক ইউনিয়নেই নৌকার মাঝি হতে ৪জন।
এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামীলীগের এমপি প্রার্থী এই চার জনের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার দুই নং জামুর্কি ইউনিয়নে। চার জনের মধ্যে দুই জনের বাড়ি একই গ্রাম বানিয়ারা। তারা নৌকার টিকেট পেতে দলীয় মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন দলীয় মনোযন নিশ্চিত করতে যার যার অবস্থান থেকে তারা কেন্দ্রীয় প্রভাবশারী নেতাদের দ্বারে দ্ধারে ঘুরছেন।
এমপি প্রার্থীরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য ও মধুমতি ব্যাংকের স্পন্সর ডাইরেক্টর এবং ইবিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, আওয়ামীলীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মেজর (অব.) ড. খন্দকার এ হাফিজ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবা শাহরীন। রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানির বাড়ি দুই নং জামুর্কি ইউনিয়নের পাকুল্যা গ্রামে, শাহবুবা শাহরীনের বাড়ি কাটরা গ্রামে এবং মেজর (অব) ড, খন্দকার এ হাফিজ এবং সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবালের বাড়ি বানায়িারা গ্রামে।
অপর দিকে এই চার জন এমপি প্রার্থী ছাড়াও দলীয় মনোযন সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত ও সাবেক গণপরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুকের পুত্র বর্তমান সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভ, মির্জাপুর উপজেলা আওায়ামীলীগের সভাপতি, মা ফাতেমা স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক ভিপি মীর শরীফ মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও প্রয়াত চার বারের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেনের পুত্র ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা আওায়ামীলীগের সহসভাপতি ও হংকং শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি শিল্পপতি আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ লিটন এবং বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল। মোট নয় জন প্রার্থী আওয়ামীলীগের নৌকা চেয়ে মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) হয়ে মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ও আট বারের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু।
দলীয় মনোয়নের ব্যাপারে শতভাগ আশা করে রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, মেজর (অব.) ড. খন্দকার এ হাফিজ, সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল এবং মাহবুবা শাহরীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবিত হয়ে আওয়ামীলীগ করি। আওয়ামীলীগের দুর্দিনে ও আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। আমরা আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামীলীগের মনোয়ন বোর্ড সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post