মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা : মির্জাপুরে পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ চত্তর এবং ১৪ ইউনিয়নে একযোগে নির্মান হচ্ছে ১৬ শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ এবং স্মৃতি স্তম্ভ।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ এবং স্থানীয় সাংসদ এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। এসব শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ এবং স্মৃতি স্তম্ভগুলো নির্মান কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী এসব শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ এবং স্মৃতি স্তম্ভগুলো উদ্ধোধন করা হবে।
আজ রবিবার (১১ ডিসেম্বর) উপজেলা পরিষদ চত্তর, শহরের পুরাতন বাস স্টেশন এবং কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, দ্রুত গতিতে নির্মান কাজ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্তায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘ দিন পর হলেও ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদদের স্মরনে স্মৃতি সৌধ, স্মৃতি স্তম্ভ এবং শহীদ মিনার নির্মান হচ্ছে। এগুলো নির্মানের ফলে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধোর সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সুত্র জানায়, প্রায় ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব শহীদ মিনার, স্মৃতি স্তম্ভ এবং স্মৃতি সৌধ নির্মান হচ্ছে। স্থানীয় সাংসদ খান আহমেদ শুভ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর দিক নির্দেশনায় উপজেলা সদরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন পুরাতন বাস স্টেশনের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পূর্বপাশে প্রায় ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ চত্তরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ এবং ১৪ ইউনিয়নে ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি করে শহীদ মিনার নির্মান হচ্ছে। অর্থ যোগান দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। মির্জাপুর পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ চত্তর, গোড়াই, ভাতগ্রাম, জামুর্কি, বাঁশতৈল, আজগানা, জামুর্কিসহ ১৪ ইউনিয়নে একযোাগে নির্মান হচ্ছে এসব শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ ও স্মৃতি স্তম্ভ।
উপজেলার দেওহাটা আলহাজ¦ মো. জোনাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম এবং সদরের মির্জাপুর এস কে পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রফুল্ল কুমার সরকার বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকার কারনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারী দিবসগুলোতে শহীদদের প্রতি ঠিকমত সম্মান জানাতে পারেনি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শহীদ নির্মান হওয়ায় আমরা আনন্দিত ও উৎফুল্ল। স্থানীয় এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান শহীদ মিনার নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন এবং অর্থ বরাদ্ধ করায় তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মির্জাপুর উপজেলা একটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিজড়িত এলাকা।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, দীর্ঘ দিন পর হলেও ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদদের স্মরনে স্মৃতি সৌধ, স্মৃতি স্তম্ভ এবং শহীদ মিনার নির্মান হচ্ছে। এটি একটি মহতী উদ্যোগ। শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি।

Discussion about this post