জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:দুদক কোনও শ্রেণী-পেশার মানুষকে টার্গেট করে তদন্ত করে না। দুদক সব ধরনের এমনকি সাধারণ মানুষের অবৈধ উপার্জনের বিষয়েও তদন্ত করে থাকে। দুর্নীতি দমন দুদকের একার কাজ নয়। আমাদের জনবল আছে ১২ শত মতো। আরও ১২ শত জনবল নেওয়ার সুযোগ আছে। আড়াই হাজার কর্মী দিয়ে ১৭ কোটি মানুষের দুর্নীতি রোধ সম্ভব নয়।
সোমবার (২২ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়াম চত্বরে দুদক আয়োজিত সততা সংঘের সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন না করলে স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধু কুমিল্লায় ক্যাডেটদের বলেছিলেন- দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে। ।
দুদক কমিশনার বলেন, সততা সংঘের এ কাজটি দুদক কেন করছে? শিশুমনে চিন্তার খোরাক দিতে চাই। সততা কঠিন কাজ হলে সেই কঠিনকে ভালোবাসতে হবে। কথায় আছে ত্রিশে বিদ্যা, চল্লিশে ধন। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করতে হবে। বাচ্চারা জাগতে হবে। ছোট বয়সে ভালো কাজে অভ্যস্ত করাতে হবে। বাচ্চা ঘুষ খায় না, অন্যায় করে না। সন্তানেরা বাবা-মাকে সৎ আদর্শবান দেখতে চায়। ওসি প্রদীপের সম্পদের তথ্য চেয়ে ৭টি দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওসি প্রদীপের মামলা চলমান রয়েছে। মামলার রায়ও হয়েছে। তার সম্পদের নিশানা খোঁজার জন্য বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা দরকার হয়। ৭টি দেশে আমরা পত্র আলাপ করেছি।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ দুইটি কাজ করে দুদক। আমরা মনে করি, তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে। আইন প্রয়োগ করে দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব নয়। সামাজিক আন্দোলন দরকার। তাই আমরা ২৭ হাজার ৬২৯টি সততা সংঘ করেছি। করোনার কারণে অনেক কাজ করতে পারিনি। অনেক সততা স্টোর চালু করা যায়নি। সততা স্টোর পূর্ণোদ্যমে চালু করা হচ্ছে।
সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। বক্তব্য দেন সততা সংঘের পরামর্শক মোস্তফা হাসান মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য দেন দুদকের পরিচালক মো. মাহমুদ হাসান।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//