যবিপ্রবিতে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে ১৭ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা অপহরণের স্বীকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
অপহরণের শিকার প্রার্থীদের দাবি, পরীক্ষা দিতে আসার সময় যবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে নিয়ে ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে ছয় ঘণ্টা আটকে নির্যাতন করে।
যবিপ্রবি প্রশাসন ও ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট অপারেটর পদের ১১টি পদের বিপরীতে এই পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন ৩৮ জন। এর মধ্যে ২১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। লিফট অপারেটর পদে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের কয়েকজন প্রার্থী ছিলেন। ফলে তাদের প্রার্থী ছাড়া অন্যরা যাতে পরীক্ষা দিতে না পারে; সেই জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রার্থী ছাড়া অন্যকোন প্রার্থী আসলেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসীয়ূর রহমান ছাত্রবাসের ৩০৪ ও ৩০৯ নাম্বার কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে পরীক্ষা শেষে ৬ ঘণ্টা পর ভুক্তভোগী প্রার্থীদের নিয়ে যেয়ে বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রার্থী ছাড়া কাউকে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
অপহরণের শিকার সোহান হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ইজিবাইক থেকে নামার সাথে সাথে কয়েকজন আমাকে ৩০৯ নাম্বার রুমে ডেকে নিয়ে মাথায় ও নাকে-মুখে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে।
যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ছাত্রলীগের কোনো কর্মী এই অপহরণের সাথে জড়িত নয়। ছাত্রলীগ কখনোই নিয়োগের সাথে জড়িত ছিল না।
যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, লিফট অপারেটর পদের চাকরি পরীক্ষা ছিলো। সাড়ে ১২ টার দিকে আমি জানতে পারলাম কিছু পরীক্ষার্থীকে ছাত্রবাসে আটকে রেখেছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post