কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত সনদ মিলছে ২০ টাকায় কম্পিউটারের দোকানে। টাকা দিলেই অসম্ভব কে সম্ভব করছে হাটশ হরিপুর বাজারের শীতল ছায়া কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী হন্নান তবে ঘটনার সত্যতা শিকার করেছে দোকান মালিক।
একদিকে যেমন ইউনিয়ন পরিষদের গাফিলতি কে দুষছেন সাধারণ মানুষ অন্যদিকে দোকান মালিকদের এমন ভুয়া কর্মকান্ডকে ধিক্কার জানাচ্ছে ইউনিয়নবাসী।
জানা যায়, অসংখ্য মানুষের নাগরিক সনদ টাকার বিনিময়ে ভুয়া এসব কাগজপত্র তুলে দেন এই হান্নান। ব্লাইং নাগরিক সনদে ৭/১২/২০২২ সালের একটি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত সনদ স্ক্যান করে টাকার বিনিময়ে মানুষের মাঝে বিতরণ করে আসছে দীর্ঘদিন। নাগরিকত্ব ছাড়াও এমন অসংখ্য জাল জালিয়াতির কাজ করে আসছে ।
আরো জানা যায়, শীতল ছায়া সহ হরিপুর বাজারের কয়েকটি কম্পিউটারের দোকানে অল্প টাকায় এম অসংখ্য কাজ করে থাকে দোকান মালিকরা। ভূয়া নাগরিক সনদ, ভূয়া মৃত্যু সনদ, চারিত্রিক সনদসহ স্কুলের ভুয়া সার্টিফিকেট ও করে দিয়ে থাকেন এসব দোকান মালিকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন কয়েকজন ব্যাক্তি জানান, আমরা এই সনদ নিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডিজিটাল করেছি, এই সনদ দিয়ে পার্সপোর্ট করেছি।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে শীতল ছায়া কম্পিউটারের মালিক হান্নান বলেন, “আপনার যদি এই সনদ লাগে আপনি নিতে পারেন। আপনার এতো কথা বলার দরকার নেই”।
হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আরশেদ আলী বলেন, “চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নকল করা এটা একটা বড় অন্যায়। তবে আমি এই নাগরিক সনদের বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি”।
হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম মুশতাক হোসেন মাসুদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “আমি এই বিষয়টি শুনেছি, ওই নাগরিক সনদে যে স্বাক্ষর আছে সেই স্বাক্ষর আমার না বলে ফোনের কল বিচ্ছিন্ন করে দেন”।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১ মার্চ ২০২৩