ইরফান উল্লাহ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
পবিত্র রমজান মাসসহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষ্যে প্রায় ৪০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতি বছর রমজানের ছুটি আসলে আবাসিক হলের খাবার নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। তাই এই ভোগান্তি থেকে নিরসনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, সব ধর্মের মানুষের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত। রমজান মাসে হলগুলোতে রান্না করা হয় না। ক্যাম্পাসের বাইরেও খাবার পাওয়া কষ্ট হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে গরুর মাংসের উপকরণ মুরগি, মাছ বা অন্য তরকারিতেও ব্যবহার করা হয়। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য সংবেদনশীল বিষয় ।
আল ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উৎস মন্ডল বলেন, রমজানে সকাল ও দুপুরের খাবারের ক্ষেত্রে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। সকালে আবাসিক হলে খাবার রান্না হয় না সেজন্য রাত জেগে সেহরিতে খেয়ে নিতে হয়। দুপুরে খাবারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যেতে হয়। অনেক সময় খাবার পাওয়া যায় না। রাতে তেমন সমস্যা হয় না আর সন্ধ্যায় বিভাগের বড় ভাইয়েরা ইফতারে ডাকেন।
প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, আপাতত হল পূর্বের নিয়মেই চলবে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হলাম। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য অন্তত একটি হলে খাবারের ব্যবস্থা এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গরুর মাংস নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে সেটি আগামী রবিবার প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিংয়ে উত্থাপন করবো।
উল্লেখ্য, আগামী পহেলা মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে বন্ধকালীন সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরিবহন অফিসের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এদিকে ২৬ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল অফিস সমূহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া রমজানে অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে বিকাল ৪ টার পরিবর্তে সাড়ে ৩টা করা হয়েছে।