চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: স্বাধীনতা দিবসের ৫২ বছর অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, ভোটার অধিকার নেই, সর্বোপরি মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই। আছে শুধু একদলীয় শাসন ব্যবস্থা।
রবিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগ র্যালীর আগে আয়োজিত সমাবেশ শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের মানুষ তাদের সমস্ত অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। একদলীয়ভাবে চলছে দেশ। জনগণ ভোট কি জিনিস ভুলে গেছে। এ সরকারের অধীনে যে সমস্ত ভোট হয়েছে সবগুলো দিনের ভোট রাতে হয়েছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আরও বলেন, আমাদের দেশপ্রেমী মুক্তিযুদ্ধরা যে লক্ষ্যে এদেশ স্বাধীন করেছে; আজ স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রান্ত হলেও অর্জন শূন্যের কোটায়। এই সরকার একদলীয় এক পেশিভাবে দেশ চালাচ্ছে। অর্থনীতি সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে এ আওয়ামী লীগ সরকার ১৪ বছর অতিবাহিত করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের সর্বনাশের জন্য আওয়ামী লীগই যথেষ্ট।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচির আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্ব স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এটাই হচ্ছে প্রকৃত ইতিহাস।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক, এস কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, শ্রমিক দলের শেখ নূরউল্লাহ বাহার, যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুর রহমান স্বপথ, মহানগর বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, গাজী আইয়ুব আলী, মশিউল আলম স্বপন, একেএম পেয়ারু, খোরশেদ আলম কুতুবী, রঞ্জিত বড়ুয়া, আবু মুছা, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, তাঁতীদলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জমান মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক, মহিলা শ্রমিক দলের শাহনেওয়াজ মিনু, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া প্রমুখ।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//