Print Date & Time : 27 August 2025 Wednesday 1:47 am

৫৪ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি গাংনীর ঝোড়পাড়া-মহিষাখোলা সড়কে

মাহাবুল ইসলাম, গাংনী: স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি মেহেরপুরের গাংনীর ঝোড়পাড়া-মহিষাখোলা ৪ কিলোমিটার সড়কে।

কাঁচা এ সড়ক এখন জনদুর্ভোগের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যানবাহন তো দূরে থাক, খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমে কোনোভাবে চলাচল সম্ভব হলেও বর্ষায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে সড়কটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। রাস্তাটি পাকা করার দাবিতে সম্প্রতি এলাকাবাসী ধানের চারা রোপণ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে দ্রুত দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সমাজসেবক আবু সায়েম বলেন, বর্ষায় গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার মতো কোনো যানবাহন বা অ্যাম্বুলেন্স সড়ক দিয়ে যেতে পারে না। তাই রোগীকে কাঁধে করে কাদামাটির রাস্তা পার করতে হয়। দেরিতে হাসপাতালে নেওয়ার কারণে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি কেউ মারা গেলে লাশ কবরস্থানে নিতেও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মুসল্লিরাও মসজিদে যেতে পারেন না। তাই তিনি দ্রুত সড়কটি পাকা করার দাবি জানান।

স্কুল শিক্ষক মিনহাজ উদ্দীন বলেন, এলাকায় প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদন হলেও রাস্তার বেহাল দশার কারণে কৃষকেরা সময়মতো তা বাজারজাত করতে পারেন না। ফলে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। অনেক সময় কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে ফসল আনা-নেওয়া সম্ভব হয় না, মাঠেই নষ্ট হয়ে যায়। আবার অন্য পথ দিয়ে বাজারে নিতে গেলে পরিবহন খরচ বেড়ে যায়।

শিক্ষার্থী ইমন হোসেন জানান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারেন না। স্কুলে যেতে হলে জামাকাপড়ে কাদা লেগে যায়। অনেক সময় পুনরায় গোসল করে পোশাক পরিবর্তন করে ক্লাসে যেতে হয়।

গৃহবধূ সাহানারা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বছরের পর বছর কষ্ট করলেও কোনো সরকার বা জনপ্রতিনিধি এ সড়কের খোঁজখবর নেননি। এমনকি বিয়ে-সাদীর মতো অনুষ্ঠানেও ছেলে-মেয়ের দুই পরিবারের লোকজন আসা-যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন। তাই তিনি সংকট থেকে মুক্তি পেতে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, এই সড়কের আগে কোনো আইডি নম্বর ছিল না। সম্প্রতি আইডি নম্বর হয়েছে। এখন অনুমোদনের জন্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।