নিজস্ব প্রতিবেদক: আদালতে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আরিফুল ইসলাম ডাবলু দীর্ঘ ৭বছর পলাতক ছিলো। ঢাকায় গিয়ে চালাতো রিক্সা। এর মধ্যে তিনবছর আগে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন রায় হয় তার। অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে সাজাপ্রাপ্ত আসামী ডাবলু।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার এম আবুল হাসেম সবুজ কুষ্টিয়া র্যাব কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ এ তথ্য জানায়।
গ্রেফতারকৃত আরিফুল ইসলাম ডাবলু কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হাসপাতাল পাড়া এলাকার মৃত আনসার আলী বিশ^াসের ছেলে। সে ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর থানায় দায়েরকরা মাদক মামলার আসামী। এবং একই মামলায় ২০২১ সালের কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী।
র্যাব-১২ জানায়, ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর হাসপাতাল পাড়া এলাকায় ৯০ গ্রাম অবৈধ হেরোইনসহ আটক হয় ডাবলু। পরে তার বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ১(খ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মামলা নং-৪৫। উক্ত মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২১ সালের ০৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরও ০১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড সাজা দিয়ে রায় প্রদান করেন।
ডাবলু আটক হওয়ার পর প্রায় ০৮ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। জামিনের পর থেকে ঢাকায় চলে যায় এবং সেখানে তিনি দৈনিক দিন মজুরি হিসেবে রিক্সা চালানো শুরু করে এবং সেখানে পলাতক অবস্থায় বসবাস করে।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক থানায় আরো দুইটি মামলা রয়েছে।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া কোম্পানী কমান্ডার এম আবুল হাসেম সবুজ জানান, আসামী ডাবলুকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে র্যাব। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১০ টার সময় ঢাকার আদাবর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য,৩১ জানুয়ারি ২০২৪

Discussion about this post