হাতি যে সবদিন পিঁপড়াকে পায়ে পিষে মারবে তা কিন্তু নয়। এই ছোট্ট পিঁপড়া হঠাৎ হাতির কারনে নাকে ঢুকেও শেষ করে দিতে পারে। সব সময় আকাশ মেঘলাথাকেনা ৷ সূর্য ওঠবেই। এতোদিন গাজাবাসীর রক্তে স্নান করে আনন্দ পেতো যে ইসরাইল ৷ আজ ঠিক পাচ্ছে চোখের অশ্রু কি !ইসরায়েল সাতটি ফ্রন্ট থেকে হামলার শিকার হচ্ছে। এসব ফ্রন্ট হলো গাজা, লেবানন, সিরিয়া, জুডিয়া এবং সামারিয়া (পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি নাম), ইরাক, ইয়েমেন এবং ইরান।
চলমান গাজা যুদ্ধের মধ্যেই সাতটি দেশ থেকে ইসরায়েলে হামলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত। ইসরায়েল বর্তমানে বহুমুখী যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।
সীমান্ত পেরিয়ে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায় গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় ৩ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে গাজা।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক যুদ্ধ ইতোমধ্যে একুশ শতকের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক সংঘাতে রূপ নিয়েছে। ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার বেশিরভাগ এলাকা। জাতিসংঘ বলছে, ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডের ২৪ লাখ বাসিন্দার প্রায় ৮৫ শতাংশই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
গাজার যুদ্ধ ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলের বাইরে ছড়িয়ে পড়ার নতুন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে গ্যালান্তের মন্তব্যে। মিসর জানায়, লোহিত সাগরের তীরবর্তী রিসোর্ট শহর দাহাবের কাছে একটি ড্রোনে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে। গত এক মাসের মধ্যে দেশটিতে দ্বিতীয় ড্রোন হামলার ঘটনা এটি। এই ড্রোনের উৎস তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
তবে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে চলাচলকারী ইসরায়েল ও মার্কিন সব জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়ে প্রায় প্রত্যেকদিনই হামলা চালাচ্ছে। ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীগোষ্ঠী ইসরায়েলেও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
লোহিত সাগরে ইয়েমেন উপকূলে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জ্যেষ্ঠ এক জেনারেল নিহত হওয়ার একদিন পর মিসরের দাহাবে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে এই অপরাধের মাশুল গুণতে হবে।
ইরাকে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন তিনটি স্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর ইরাকের ইরবিল শহরে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কাতাইব হিজবুল্লাহর হামলায় আমেরিকান তিন সৈন্য আহত হওয়ার পর ওই হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরাকের সরকার।
অন্যদিকে, ইরান-সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রায় প্রত্যেক দিনই ইসরায়েলের সীমান্তের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণ করছে। হিজবুল্লাহর হামলার জবাবে লেবাননের সীমান্ত এলাকায় বিমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলায় নিহত হয়েছেন ১১ জন। শুধু হামাস মোকাবেলায়
ইসরাইলি সেনাদের চোখ ছানা বড়া, আর সেখানে অন্য গোষ্ঠী ঠেকাতে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি৷
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//