চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় কাজী সাহেদুজ্জামান রিমন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনার ৯দিন পর কবরস্থান থেকে নিহতের লাশ তোলা হয়েছে।

গত ১৪ জুন নগরের ইপিজেড থানার কাজীগলি এলাকা থেকে রিমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি গতকাল ১৯ জুন ভিকটিম আসমা আক্তারের লাশ কবরস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আসমা আক্তার প্রায় ১২ বছর আগে গার্মেন্টসে চাকরি করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম শহরে আসেন। চাকরির সুবাদে কাজী সাহেদুজ্জামান রিমনের সাথে তার পরিচয় হয় এবং প্রায় ১১ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। গত ১০ জুন বিকাল সাড়ে ৫টায় রিমন ভিকটিমের পিতা মো. আলমকে ফোন করে জানায় যে আসমা বাসায় গলায় ফাঁস দিয়েছে।
পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টায় রিমন ভিকটিমের বড় বোন রোকেয়াকে ফোন করে জানায় , আসমার মৃতদেহ ফুলে যাচ্ছে তাই সে মৃতদেহটি তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে নিয়ে যাচ্ছে। সেদিন রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে রিমনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেলে ১২ জুন আসমার পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রামে আসেন।
প্রতিবেশিরা আসমার বাবাকে জানায়, কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় ভিকটিমের লাশ ভাড়া ঘরে পড়ে থাকতে দেখেছেন এবং ভিকটিমের গলায় দাগ ছিলো। পরে আসমার বাবা স্থানীয় একজন ডাক্তার নিয়ে আসলে ডাক্তার পরীক্ষা করে ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন এবং লাশটি অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব হোসেন বলেন, আসামি রিমন নগরের পতেঙ্গা পশ্চিম হোসেন আহম্মদ পাড়া খেজুরতলা এলাকার একটি সেমিপাকা ভাড়াঘরে অজ্ঞাত কারণে ভিকটিমকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য রামগঞ্জ থানার পশ্চিম কাদিরবিল মিজি বাড়ি কবরস্থানে কবর দেয়।
ওসি আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা দায়েরের পর পতেঙ্গার ভাড়া বাসা থেকে একটি লোহার বটি ও পাঁচটি কালো-সাদা রংয়ের রশির ছেঁড়া অংশ উদ্ধার করা হয়। আমরা রিমনক গ্রেপ্তার করেছি। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের জন্য গলিত লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুন ২০,২০২৩//