পাকিস্তান মিলিটারির সিপাহী আবুল কাশেম। “এক সিপাহীর না বলা কথা” নামে একটি বই লিখেন। এবারের বই মেলায় বাংলা একাডেমীর ভাষা শহীদ উন্মুক্ত মঞ্চে ওই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নূরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন এটিএন নিউজের সিইও মুন্নী সাহা।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোকসা উপজেলা সমিতির সভাপতি আহসান হাবিব নবাব, মহাসচিব বাবুল আলম বাবুল, কুমারখালি উপজেলা সমিতি ঢাকার সহ-সভাপতি, সাবেক সচিব কাশেম মাসুদ, কুমারখালি স্টুডেন্ডস্ এ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা উন্নয়নকর্মী আশরাফুল আলম সাগর, আইডিয়াল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রহমত আলী, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান খোকন, ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দীন সম্রাট, ব্যাংকার ইমরান হোসেন, মোহনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম মনি এবং খোকসা ও কুমারখালির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
এই বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা প্রবাহ, পশ্চিম পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর অবস্থা, ব্যক্তি আবুল কাশেমের দৃড় মনোবল ও জীবন-চেতনা বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ একেছেন ধ্রুব এষ। বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বই মেলার ১৫ নং প্যাভিলিয়নে। দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা। প্রয়োজনে মনিরুল ইসলাম মিন্টুর ০১৭১৬-৬০১১৬৪ মোবাইলে কল দিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
লেখক আবুল কাশেম বলেন তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মজিবর মন্ডল। এসএসসি পাস কওে ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। পোস্টিং হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। এর কয়েক মাস পর শুরু হয় বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় পাকিস্তান রেডিওতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গাদ্দার বলা হয়। এসময় তারা দুইজন বাঙালী সিপাহী এর প্রতিবাদ করেন। এরপর তারা পাকিস্তানী সেনাদের টার্গেটে পরিনত হন।
এক গভীর রাতে দুই বন্ধু সেনা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এক বাঙালির বাড়িতে আশ্রয় নেন। তারা বিশ্বাসঘাতকতা কওে তাদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। সেনা আইনে তাদেও বিচার শুরু হয়। তাদের রাখা হয় জেলে সেখান থেকে পালিয়ে আবুল কাশেম ভারতে যান। তারপর মুক্তি যুদ্ধে অংশ নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। সেই দু:সময়ের স্মৃতি গুলো তিনি লিখে রেখেছিলেন ডায়েরিতে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সেই সব অজানা স্মৃতি কথা তুলে এনেছেন বইয়ের পাতায়।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//১১ মার্চ, ২০২২//

Discussion about this post