সোহাগ মাহমুদ, কুমারখালী (কুষ্টিয়া): কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক দখল করে চলছে জমজমাট পশুহাট।
কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, পাবনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতি নিয়তই ক্রেতা বিক্রেতারা আসে এই হাটে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। জনদুর্ভোগও চরমে। এছাড়াও সড়কের উপর পড়ে থাকা পশুর বর্জ্র ও আবর্জনা পরিবেশ দূষন করছে।
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে গরু হাট বসলেও সড়কের ৭০ মিটার উত্তরে চড়াইকোল রেল এষ্টেশন অবস্থিত। আর সেই এষ্টেশনের সামনে রেল লাইন দখল কওে জমে উঠেছে ছাগল ও সাইকেলের হাট। প্রতি বুধবার এই পশুহাট এতোটাই জমজমাট থাকে যে ট্রেন আসলেও বাজারে আসা মানুষ ও বাজারে আনা পশু হুমকীর মুখে থাকে প্রতিক্ষণই।
জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে থেকে সপ্তাহের প্রতি বুধবার চড়াইকোল স্টেশন বাজার পশুহাট বসে আসছে। হাটটি আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথে হওয়ায় পশুবহনকারী যানবাহনগুলো সড়কের দুইপাশ দখল করে যত্রতত্র রাখা হয়। ফলে সড়ক দিয়ে সাধারন মানুষসহ যানবহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
গতকাল বুধবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়া -রাজবাড়ি মহাসড়কস্থ চড়াইকোল স্টেশন বাজার সংলগ্ন পশুহাপটের যানবাহনগুলো সড়কের দুইপাশ দখল করে রাখা হয়েছে যত্রতত্র। ফলে সড়কটি সংকীর্ণ হওয়ায় স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানযট।
এবিষয়ে সড়ক ব্যবহারকারী গাড়ি চালক মিলন বলেন, বুধবার আসলেই চড়াইকোল এলাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় এক গাড়ির সাথে অন্য গাড়ির ধাক্কা লাগে। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটে। হাটের ময়লা, আবর্জনা পরিষ্কার করার কথা থাকলেও তার কোনো পদক্ষেপ নেয়না হাট কর্তপক্ষ।
সড়কে যানবহন রাখা একজন ড্রাইভার নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, হাটে গাড়ী রাখার নির্ধারিত জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়েই সড়কে গাড়ি রাখা হয়।
অপর দিকে রেল লাইনের উপরে ছাগল বিক্রি করতে আসা বিপ্লব হোসেন নামের এক বিক্রেতা জানান, রেল লাইনের উপরে এমন হাট পরিচালনা করাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ । যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, আর তাই ছাগলের হাটটি রেল লাইন থেকে সরিয়ে নিরাপদ কোথাও নেওয়া জরুরী।
এবিষয়ে চড়াইকোল স্টেশন বাজার পশুহাটের ইজারাদার কামাল মুঠোফোনে জানান, সকল হাটেই এমন চিত্র। এটা খুব বেশি সমস্যার বিষয় নয়।
জানাগেছে এই হাটটি ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইজারাদার পশু হাটটি পরিচালনা করেছে, বিভিন্ন সময় স্থানীয়রা, পথচারী ও গনমাধ্যমের কারনে আলোচনায় আসলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেও আসেনি সরাসরি কোন সুফল।
একই পশুহাটে মহাসড়ক ও রেল লাইন দখল করে হাট পরিচালনা বিরল হলেও চড়াইকোল পশুহাট প্রায় ১৫ বছর ধরেই চলছে। আর তাই স্থানীয় ও পথচারীরা এর সুষ্ঠ সমাধান দাবি করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল জানান, আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি এখনও। তবে আমি নিজ উদ্যোগে কয়েকবার সেখানে গেছি এবং আইনগত ব্যবস্থাও নিয়েছি।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post