নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস ইন্দ্রা মোড়ে মকবুল হোসেনের পৈত্রিক বসতভিটার প্রাচির ভেঙ্গে রাস্তা তৈরির ও অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যনুসন্ধ্যানে জানা গেছে,কুমারখালী থানার বাগুলাট ইউপির কোমলাপুর দুধকুমড়া গ্রামের মৃত শাজাহান আলীর ছেলে স্থানীয় জামাল উদ্দিন বিশ্বাস(৪০) গত ৬ মাস পূর্বে ইন্দ্রা পাড়াস্থ সরোয়ার হোসেনের নিকট হতে ( দশমিক শূন্য চার এক দুই পাঁচ শুন্য ) একর জমি ক্রয় করে উক্ত জমি ক্রয় করার সময় কোনটি জমির রাস্তা তা বুঝিয়ে দেওয়া হয় । কিন্তু জামাল গত ২০ জানুয়ারি বেলা ১২ টার সময় মুক্তিযোদ্ধা ফটিক চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মকবুল হোসেনের বসত ভিটার প্রাচির ভেঙ্গে রাস্তা তৈরি করে যা ওই মৌজা বা দলিল এবং ম্যাপে কোথাও রাস্তা নেই ।
এর পরিপেক্ষিতে মকবুল উক্ত প্রাচির ভাংতে বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতান্ডা সৃষ্টি হয় এক পর্যয়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেই এরই সূত্র ধরে জামাল ও তার ভাই আবু জাফর মিয়া মুক্তিযোদ্ধা ফটিকের ছোট ভাই মকবুলের পরিবারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং ওই মামলার নথিতে মকবুলের অসুস্থ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত স্ত্রীর কে লিপিবদ্ধ করে ।সরেজমিনে দেখা গেছে মকবুলের বসত ভিটার প্রাচির সংলগ্ন নাজিম ম্যনশনের পাশ দিয়ে একটি রাস্তা রয়েছে যেটি ম্যাপ এবং দলিলে উল্লেখ রয়েছে । রাস্তাটি একটু ঘুরে জামাল কে বের হতে হয় বলেই নিজেদের চলা চলের সুবিধার্থে জামাল মকবুলের প্রাচির ভেঙ্গে নতুন একটি রাস্তা তৈরি করেছে যা সম্পুর্ন বেআইনি বলে দাবি করছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
তারা বলেন, দলিলে যেখান দিয়ে রাস্তা রয়েছে সেখান দিয়ে রাস্তা বহাল থাকবে জোর করে কেন আমাদের প্রাচির ভেঙ্গে নতুন রাস্তা করবে । মকবুল আরো বলেন , এই সমস্থ জমি এমনকি জামাল যে জমিতে বাড়ি নির্মাণ করেছে তা আমাদের পৈত্রিক জমি। আমরা যখন ওই জমি বিক্রয় করি তখন কোনটি চলাচলের রাস্তা তা দলিলে উল্লেখ আছে । এখন জামাল তার পেশি শক্তি ব্যবহার করে আমার প্রাচির ভেঙ্গে নতুন রাস্তা করেছে এবং আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে আমাদের অপদস্থ করার পায়তারা চালাচ্ছে । এ বিষয়ে মাননীয় সংসদ মাহাবুবুল আলম হানিফ এবং কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি । যাহাতে আমার বসত জমির প্রাচির পূনরায় নির্মাণ এবং হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পাশে থাকবেন বলে আকুতি করেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post