জেলার রাজনগরে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস উপজেলা পরিষদ থেকে দূরবর্তী স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ব্যবসায়ী, দলিল লেখক ও সাধারণ জনগণ ৮ঘন্টার ধর্মঘট পালন করেছেন। দোকানপাট বন্ধ রেখে ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল করায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়া দলিল লেখকরা একই দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে কলম বিরতি পালন করায় সরকার প্রায় ১কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারিয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ আরো জোড়ালো হচ্ছে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ১৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচী পালন করে।
ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ জানান, সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস উপজেলা পরিষদের ভিতর থেকে সড়িয়ে দূরবর্তী স্থানে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। অফিসটি সড়িয়ে নেওয়া হলে এসব ব্যবসায়ীরা কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাছাড়া সেখান থেকে ব্যাংক দূরবর্তী হওয়ায় লেনদেনে ব্যাঘাত ঘটবে। দলিল লেখকরা ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসার সময় চুরি-ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব ঝুঁকি বিবেচনায় দলিল লেখকরা ২৭ জানুয়ারি থেকে কলম বিরতি পালন করছেন। এছাড়াও ব্যাবসায়ীরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আন্দোলন করায় সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা আর্থিক ক্ষতি ও ভোগান্তিতে পড়েছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ থাকায় ভূমি ক্রেতা-বিক্রেতারাও বিপাকে পড়েছেন। সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস উপজেলা পরিষদের নিকটবর্তী স্থানে রাখার দাবীতে গত ৫ ফেব্রুয়ারী ব্যবসায়ী, দলিল লেখক ও সাধারণ মানুষ মানববন্ধন-প্রতিকী ধর্মঘট পালন এবং জেলা রেজিষ্ট্রার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা রেজিষ্ট্রার কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় পরিস্থিতি দিনদিন ঘোলাটে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের ডাকে সোমবার ভোর ৬টা থেকে ২টা পর্যন্ত ৮ ঘন্টা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অবরোধ কর্মসূচী পালন করেন।এব্যাপারে ডি.আর অফিস জানায়,শিঘ্রই বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
জেলা রেজিষ্ট্রার এস এম সোহেল রানা মিলন জানান আন্দোলনকারীরা বাস্তবতা না বুঝে আন্দোলন করছেন।এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের নিয়ে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী আলোচনায় বসার চিন্তা ভাবনা চলছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post