আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর চালানোর সহিংসতা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল বলে বাইডেন প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এটি মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তাকে চেপে ধরার একটি পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার ওয়াশিংটনের ইউএস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবেন। সেখানে বর্তমানে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার একটি প্রদর্শনী রয়েছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১৪ মাস পরে এমন ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর চালানো সামরিক অভিযানে কমপক্ষে ৭ লাখ ৩০ হাজার মুসলিম রোহিঙ্গা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হন। তারা হত্যা, দলবেঁধে ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছেন বলে বর্ণনা দিয়েছেন। ২০২১ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে।
ব্লিঙ্কেনের সোমবারের ঘোষণা প্রসঙ্গে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বের কাছে এবং বিশেষ করে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ভুক্তভোগী এবং বেঁচে যাওয়াদের জন্য এটা ইঙ্গিত যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা ঘটছে তার গুরুতর অবস্থার কথা স্বীকার করে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post