ভয়ের কিছু নেই, নিয়মিত ঔষধ সেবন করলে যক্ষ্মা ভালো হয়—–সিভিল সার্জন, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় বিশ্ব যক্ষা দিবসে র্যালী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ মার্চ বৃহস্পতীবার বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে এই র্যালি বের করা হয়। সকাল সাড়ে ৯ টায় কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে র্যালী শুরু করে শহর প্রদক্ষিন করে।
এরপর কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম। আরো বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া নাটাবের সভাপতি রফিকুল আলম টুকু, বক্ষব্যাধী ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ শারমিন আক্তার, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন অফিসের এমওসিএস ডাঃ নজমুল মুনির, এমওডিআরএস ডাঃ জাহিদুল ইসলাম, ব্রাকের জেলা সমন্ময়কারী অমরেশ চন্দ্র দাশ।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন ডিষ্ট্রিক্ট সার্ভিসেন্স মেডিকেল অফিসার ডাঃ নওরিন আলম সিজা। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসের প্রোগ্রাম অরগানাইজার রনজিৎ কুমার ও ব্রাকের এরিয়া সুপারভাইজার প্রবির কুমার ঢালী।
অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহের বেশি কাঁশি হলে নিকটস্থ স্বাক্ষ্য কেন্দ্রে গিয়ে কফ পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষায় যক্ষ্মা ধরা পড়লে ভয়ের কিছু নেই। নিয়মিত ঔষধ সেবন করলে যক্ষ্মা ভালো হয়। যক্ষ্মা রোগীকে চিহ্নিত করে চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে জানানো দরকার যে চিকিৎসার সুযোগ আছে বিনামূল্যে এবং রোগ নির্ণয় সুবিধাও রয়েছে।
তিনি বলেন, যক্ষা রোগের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের অনান্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ভাল। সরকার বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে বিনামূল্যে যক্ষারোগের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখন প্রয়োজন জনগণকে সচেতন করা। যক্ষামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলে মিলে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, যক্ষা রোগ সম্পর্কে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশে সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও যৌথভাবে যক্ষা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এর সুফল পেয়েছে জনগণ। তিনি বলেন, আমরা আমাদের জেলা থেকে যক্ষ্মা নির্মুলে আপ্রাণ চেষ্টা করবো এবং সবাইকে যক্ষ্মা নির্মুলে এগিয়ে আসতে আহবান জানান।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মার্চ ২৪,২০২২//

Discussion about this post