গোপনে কমিটি করায় হেড মাস্টার অবরুদ্ধ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: গোপনে কুষ্টিয়ার খোকসার ওসমানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছে ওই স্কুলের হেড মাস্টার। এর প্রতিবাদে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তাকে কয়েক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।

জানা গেছে, ওসমানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ সম্প্রতি শেষ হয়। এর সুযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান সদ্য মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির কর্মকর্তা ও অভিভাবকদের সাথে আলোচনা ছাড়াই এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের সাথে যোগসাজশে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরী করেছে।
গোপনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনের বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচার হয়ে যায়। তারা প্রধান শিক্ষককের কাছে অবৈধ কমিটি গঠনের বিষয়টি জানার চেষ্টা করে। এ সময় মিরাজুল ইসলামকে সভাপতি করে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেন।
রাতের আঁধারে গঠন করা নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে সোমবার সকালে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করে। ছাত্রদের সাথে এতে অভিভাবকরাও যোগদান করেন। তারা প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমানকে প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় প্রধান শিক্ষক মুক্ত হন।
বিদ্যালয়টির সর্বশেষ কমিটির সাবেক সদস্য আহসান হাবিব, উজ্জল মোল্লা, বাচ্চু শেখ জানান, মতিয়ার রহমান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম করে আসছেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ, অতিরিক্ত ফিস আদায়ের অভিযোগ করেন।
অভিভাবকরা দাবি করেন, প্রধান শিক্ষক আইন লংঘন করে তার পছন্দের লোকজন দিয়ে কমিটি গঠন করেছেন। এ বিষয়ে স্কুলে কোন প্রকার নোটিশ দেননি। তারা রাতের আঁধারে গঠন করা কমিটি বাতিল করে বৈধভাবে কমিটি গঠনের দাবি জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের না জানিয়ে গোপনে গোপনে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছেন প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মতিয়ার জানান, সকল নিয়ম মেনেই স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নতুন তালিকা দেখতে চাইলে তিনি বলেন, সকল কাগজপত্র আমার বাসায় রয়েছে। ২ দিন পরে দেখাতে পারব। তবে অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অস্বীকার করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হক জানান, বিদ্যালয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির খবর শুনে তিনি ওসমানপুরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নদী পার হওয়ার সময় প্রধান শিক্ষক তাঁকে জানান, কিছু লোক কমিটি গঠনের বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে বিদ্যালয়ে এসেছিল। তারা ফিরে গেছে।