খুলনার পাইকগাছা লবণ সহিষ্ণু ব্রি ধান-৬৭ কর্তন উপলক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পুরাইকাটীতে ব্রি ধান-৬৭ জাতের প্রদর্শনীর উপর ফসল কর্তন ও কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ’র উদ্যোগে উপকূলীয় বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে পানি সম্পদ ও মাটির লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ কর্মসূচির আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাইকগাছা এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজান কবীর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় সাতক্ষীরার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তাহমিদ হাসান আনছারি, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ গাজীপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মনিরুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিষার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ তুহিন এর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, প্রভাষক মইনুল ইসলাম ,সহকরী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাজান আলী, উপসহকরী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, বিল্লাল হোসেন, মিন্টু রায়, ডল্টন রায়।
মাঠ দিবসে বক্তারা বলেন, আগামীতে লবণাক্ততার কারণে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের কোন জায়গা পতিত থাকবে না। নতুন নতুন এলাকায় ব্রি ধান-৬৭ জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের সামগ্রীক উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আগামী বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৩৫-৪০% ব্রি-৬৭ জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন ।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য// এপ্রিল ১৯,২০২২//

Discussion about this post