মোঃ রাসেল, বরগুনা: বিয়ের দাবিতে জামালপুরের এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী বরগুনাতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে এসে বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালীর কাঠপট্টি এলাকার প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। এরপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রেমিক ও তার পরিবারের লোকজন।
ওই তরুণীর বাড়ি জামালপুরের সড়িষাবাড়ি গ্রামে। সে রাজধানীর উত্তরার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন এবং সেখানেই থাকতেন। এবং তার প্রেমিক মাহমুদুল হাসানের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালীর কাঠপট্টি এলাকায়। মাহমুদুল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)তে সিভিল প্রকৌশল বিভাগে অধ্যায়নরত।
তরুণী জানায়, মাহমুদুল হাসানও রাজধানীর উত্তরায় থাকত। একই এলাকায় থাকার কারনে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়, এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। তাদের প্রেমের সম্পর্কের তিন বছর পর মাহমুদুলকে বিয়ে করার কথা বলে ওই তরুণী। এরপর থেকেই নানান অযুহাতে তরুণীকে এড়িয়ে চলা শুরু করে প্রেমিক মাহমুদুল। চলতি মাসের শুরুতে মাহমুদুল তার নিজ গ্রামের বাড়ি বরগুনায় চলে আসেন। বাড়িতে আসার পর তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়ে গত চার পাঁচদিন ধরে মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে রাখছেন মাহামুদুল।
এরপর ওই তরুণী বৃহষ্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বরগুনায় এসে চান্দখালি বাজার সংলগ্ন মাহমুদুলের বাসায় অবস্থান নেয়। কিন্ত তিনি আসার পরপরই মাহমুদুল ও তার পরিবার বাসায় তালা লাগিয়ে অন্যত্র চলে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই তরুণী বলেন, এখন আমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, আমি বাধ্য হয়ে মাহামুদুলের বাড়িতে এসেছি। ও আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। গত তিন বছর ধরে আমাদের এই প্রেমের সম্পর্ক চলছে। আমি সর্বস্ব খুইয়ে এখন নিরুপায় হয়ে এখানে এসেছি। মাহমুদুল যদি আমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে না নেয়, তাহলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করব।
এবিষয়ে কথা বলতে শুক্রবার বিকেলে মাহমুদুলের নিজ বাড়ি চান্দুখালী বাজারের কাট পট্টি এলাকার বাসা গেলে তাদের বাসা তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এমনকি তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই মাহমুদুলের পরিবারের কারও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বেতাগী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, চান্দুখালী পুলিশ ফাড়ি দিয়ে ফোর্স পাঠিয়েছি তরুণীটির নিরাপত্তার জন্য। এখন দুই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হচ্ছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারলে বিষয়টির সমাধান করার চেস্টা করবো।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহিন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং ওইখানে মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পাঠানোর ব্যাবস্থা করেছি। এবং এদের পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেস্টা চলমান রয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post