মোঃ রাসেল, বরগুনা: আসন্ন নবম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরগুনার তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন এক সাবেক জামায়াত নেতা। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইতিমধ্যে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে নৌকা প্রতীকের জন্য আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন। এমনটাই অভিযোগ তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।
সাবেক এই জামায়াত শিবির নেতার নাম আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার। তিনি তালতলীর পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চন্দনতলা গ্রামের মৃত কাশেম হাওলাদারের ছেলে।
তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সুত্রে জানা যায়, আব্দুল রাজ্জাক হাওলাদার ২০০২ সালে জামায়াত শিবির ত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এরপর রাজ্জাকের সহধর্মিণী আপন বড়ভাই জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হওয়ার সুবাদে সকল দলীয় সুযোগ সুবিধা পেতে থাকেন রাজ্জাক। এমনকি উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদও পান রাজ্জাক। গত ২০১৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। তবে অনুপ্রবেশকারী হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে মনোনয়ন দেয়নি।
আগামী ১৫ জুনে নবম ধাপের ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে গত (০৬ মে) ৫ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ। ৫ জনের মধ্যে সাবেক জামায়াত নেতা আব্দুল রাজ্জাক হাওলাদারেরও নাম প্রস্তাব করেছে কিছু নেতাকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খোকন হাওলাদার জানান, রাজ্জাক হাওলাদার জামায়াত ইসলামের সক্রিয় কর্মী ছিলেন, তিনি এ দলের উচ্চ পদেও ছিলেন। তালতলী উপজেলার প্রতিটা মানুষ জানে। সম্প্রতি তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় অনুপ্রবেশকারী রাজ্জাক জামায়াত শিবির করেও নৌকা চেয়েছেন! তাহলে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা হয়ে লাভ কি? রাজ্জাকের মতো লোক দলীয় মনোনয়ন চাওয়ায় আমার ইউনিয়নের ত্যাগী নেতারা ক্ষুব্ধ। আমি ছাত্রলীগ করেছি যুবলীগ করেছি এবং পরপর দুইবার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আজকে আওয়ামী লীগের ত্যাগী যারা নেতা তাদের কোন মূল্যায়ন নেই। চলছে ভোট বাণিজ্য মনোনয়ন বাণিজ্য। ত্যাগী নেতাদের কোনো জায়গা নেই।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জামায়াত নেতা রাজ্জাক হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ ভুয়া এবং বানোয়াট। আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য এই কজা গুলো করা হচ্ছে।
তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান তনু জানান, রাজ্জাক জামায়াত শিবির করত কিনা তা আমার জানা নেই, তবে সে একসময় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি করত। সে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে পচাকড়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তার মত অনুপ্রবেশকারী কিভাবে মনোনয়ন চায় সেটা আমার বোধগম্য নয়।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post