ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কে হচ্ছেন সভাপতি? শামীম হক না অন্য কেউ এ আলোচনা এখন ঢাকা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত। তৃনমুল নেতাকর্মীদের প্রিয় মানুষ শামীম হক। দলের দুর্দিন থেকে সুদিন শামীম হক দলকে শুধু দিয়েছেন,বিনিময়ে নেননি কিছুই। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এবার তৃনমুল নেতাকর্মীদের চাপে তাদের অনুরোধে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। ক্লিন ইমেজের মানুষ। সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য। শহীদ পরিবারের উত্তরাধিকার এই মানুষটিকে এবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে চান জেলার তৃনমুলের বঞ্চিত,ত্যাগী নেতাকর্মীরা
নতুন প্রত্যাশা নিয়ে ১২ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। জেলা জুড়ে সাজ সাজ রব। ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়েগেছে শহরের অলিগলি। চায়ের দোকান থেকে রাজনৈতিক সচেতনদের বৈঠকখানা সবখানে একই আলোচনা কে হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের পরবর্তী সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক। সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন দুই জন প্রার্থী শামীম হক ও বিপুল ঘোষ। তবে জেলার বঞ্চিত নেতাকর্মীদের ভরসা শামীম হক।
২০০৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত টানা দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও ফরিদপুরের চিত্র ছিলো ভিন্ন। ফরিদপুরে বঞ্চিত ছিলো আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ দিন ধরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন একটি চক্র নিয়ে রাজনীতি ও লুটপাটে শামিল ছিলেন। জেলা নেতাকরা কখনও কখনও মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ছিলেন আবার কখনও স্বার্থের বিরোধে তার কাছ থেকে দূরে সরে গেছেন,তবে ক্ষমতার স্বাদ তারা ভোগ করেছেন। এ ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম ছিলেন শামীম হক। তিনি কখনও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছে যাননি,সুবিধা নেননি,কখনও নিজেকে টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত করেননি।
যতটুকু পেরেছেন আওয়ামী লীগের বঞ্চিত নেতাকর্মীদের পাশে দাড়িঁয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান ক্লিন ইমেজের মানুষ শামীম হক। প্রতি বছর বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে বিনা পয়সায় দরিদ্র মানুষদের প্লাাষ্টিক সাজার্রী করান,বঙ্গবন্ধু মাতা বেগম ফজিলাতুননেসার নামে চক্ষু শিবিরি করে নিজের টাকায় দরিদ্র মানুষের চোখের চিকিৎসা করান। বাংলাদেশে প্রথম একটি অসাম্প্রদায়িক এতিমখানা গড়ে তুলেছেন তিনি,যে এতিম খানায় মুসলিম,হিন্দু,খৃষ্টান,বৌদ্ধ সব ধর্মের অনাথ শিশুরা পড়াশোনা করেন। তাদের খাদ্য থেকে সব কিছুর যোগানদেন শামীম হক।
শামীম হক ধনাঢ্য একজ ক্লিন ইমেজের মানুষ। পচাত্তর পরবর্তীকালে জিয়ার দুশাসনের সময়ে তিনি ছিলেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তার সাংগঠনিক দক্ষমতায় ফরিদপুরে চাত্রলীগ ছিলো শক্তিশালী। সে সময়ে জিয়ার দুশাসনের কারনে তিনি দেশে থাকতে পারেননি। অর্ধশত মামলা দায়ের হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে,তারপরও তাকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরানো যায়নি।
জেলার বঞ্চিত নেতাকর্মীদের প্রাণের নেতা হিসেবে পরিচিত শামীম হক। বঞ্চিত নেতাকর্মীরা আশা করছে এবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হবেন তিনি।
তৃনমুলের একজন কর্মী দুলাল বলেন,অন্য সব নেতাদের আমরা চিনি,যারা মোশাররফ মিয়ার সঙ্গে রাজনীতি করে বড় লোক হয়েছে,মোশাররফ চলে যাওয়ার পর তারা নিজেদেরকে ত্যাগী হিসেবে জাহির করছেন,আবার মোশাররফের লোকেরাই তাদের সঙ্গে। দলের ত্যাগী নেতার তকমা লাগিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়া,সভাপতির পদ প্রত্যাশী ভোলা মাষ্টার এক সময়ে ছিলেন জাতীয় পার্টিতে। অন্যদিকে জিয়া এরশাদের দুশাসনের সময়ে শামীম হক থাকতে পারেননি দেশের মাটিতে।
রিমন//দৈনিক দেশতথ্য//১০মে-২০২২

Discussion about this post