সুনামগঞ্জে সাম্প্রতিক সময়ে বোরো ফসলের কিছু ক্ষয়-ক্ষতি হলেও দেশে খাদ্যসংকট হবে না বলে আশ্বস্থ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন,বাজারের ব্যালেন্স ঠিক রাখার জন্যই সরকার ধান চাল কেনেন। কৃষকদের ন্যায্য মূল্য দেয়ার জন্যই ধান চাল কেনা। তাই কৃষক যাতে সন্মানের সাথে গুদামে ধান বিক্রি করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
১৫ মে রবিবার বিকাল ৫ টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় খাদ্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,খাদ্য সচিব বেগম নাজমানারা খানুম, সিলেট আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাইনুদ্দিন,সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক অসীম চন্দ্র বনিক,সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত,এন এস আই যুগ্ম পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুব আলম,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ আহমদ হোসেন,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম,জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকীব সাঈদ সাইফুল, পিপি এডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট হায়দার চৌধুরী লিটন,সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম,সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন,তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল ,শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী,দোয়ারাবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু,জামালগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ,সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু প্রমুখ।
ধানের সরকারি দামের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের সাহায্য করে এবং তাদের কাছ থেকে ঘোষণা দিয়ে দাম নির্ধারণ করে ধান কেনে। কৃষকরা যাতে বাজারে অন্যের কাছে ধান বিক্রি করে না ঠকে তাই এমনটি করা হয়। এবার ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, তা আর বাড়ানো হবে না।
চলতি বছর সরকারীভাবে ২৮ হাজার ৬৬৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। চলতি বছর এই জেলায় ১২ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করা হয়েছে সেই আলোকেই কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে ধান গুদামে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান। চলতি বছর এ জেলায় ৩৪ হাজার কৃষকের তালিকা করা হয়েছে যারা সরাসরি গুদামে ধান ও চাল বিক্রয় করতে পারবেন। ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে তাদের মূল্য পরিশোধ করা হবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে ১৫, ২০২২//

Discussion about this post