ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বৃত্তিদেবী রাজনগর গ্রামে বেসামরিক গেজেট-১৮৭৩ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার আপন ভাই আজিম মুন্সী ও গ্রাম্য কফিল উদ্দিন কে ২০০৯ সালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহত কফিল উদ্দিনের ভাই হবিবর বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-১২, তারিখ ১৫/০৪/২০০৯।
মামলাটি ১৪৪/১৩ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জজ আদালত-১ ঝিনাইদহ বিচারাধীন আছে। হত্যাকারী মওলা, কুদ্দুস, রইচ, বাচ্চুসহ খুনি সন্ত্রাসীরা এলাকায় ব্যাপক প্রভাবশালী হওয়ার দীর্ঘ ১৩ বছর মামলাটি চালাতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। প্রতিনিয়ত মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি ও সাক্ষ্যদানে বাধা দেয়া হয়। গত ৯ মে নিহত আজিম মুন্সীর ছোট ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বাড়িতে গেলে খুনিরা তার উপর চড়াও হয় এবং হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে শৈলকুপা থানায় ডিজি করা হয়েছে যার নং-৬৩৮। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হয়েও নিহত স্বজনের বিচার চাওয়ায় এলাকার প্রভাবশালী কর্তৃক কোনঠাসা এই পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যে কোন সময় জোড়া হত্যার আসামীরা বাদী ও স্বাক্ষীদের মিথ্যা মামলা বা খুন জখম ও হয়রানি করতে পারে বলে আশংকা করছে।
নিহত আজিম মুন্সীর বড় ছেলে রেজাউল বলেন, শৈলকুপা থানায় প্রতি বছর ৩০/৪০ জন লোক খুনের স্বীকার হয়, কিন্তু ৪০ বছরেও ১টা বিচার হয়না। যে কারনে খুনিরা থেমে নেই। আশা করছি আমার বাবার খুনিদের সঠিক বিচারের পর গোটা উপজেলায় খুন ৫০% কমে যাবে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকার লোক জনের সাথে কথা বলে যানা যায় আজিম মুন্সী ও কপিল উদ্দিনের খুনিরা সন্ত্রাসী বারেকের আপন ভাই ও সন্ত্রাসী ইউনুচ মেম্বর ও আয়ুবের আপন চাচাত ভাই। বারেক ও আয়ুব অনেক আগেই প্রতিপক্ষ দ্বারা নিহত হয়েছে এবং তাদের অস্ত্র মওলার হেফাজতে রয়েছে। সন্ত্রাসী মওলা প্রায়ই লোকজন নিয়ে সন্ধ্যার পর এলাকায় মহড়া দেয় বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কযেকজন বলেন, খুনিরা সাজা থেকে বাচতে দফায় দফায় মিটিং ও হুমকি ধামকি দিয়ে এলাকা আতংকিত করে ফেলেছে। যে কোন অনাখাংকিত ঘটনা এড়াতে এবং সঠিক বিচারের জন্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি সরকারের এবং প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তারপরও কোন স্বাক্ষীকে যেন হুমকি-ধামকি দেওয়া না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//২২ মে-২০২২

Discussion about this post