ইডির একটি সূত্র বলেছে পি কে হালদারের আত্মসাৎ করা অর্থের বিশাল অঙ্ক গেছে বাংলাদেশের ক্ষমতাধর ব্যাক্তির পকেটে। তার ছত্রচ্ছায়ায় থেকেই তিনি সব কিছু করেছেন। পিকে হালদার কলকাতায় ধরা পড়েছে এমন খবর শুনে তিনি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে সটকে পড়েছেন।
বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক জালিয়াত পিকে হালদারসহ ছয়জনকে এগার দিন তক জেল হাজতে আটকে রাখার আদেশ দিয়েছে নগর দায়রা আদালতের বিচারক সোভিক ঘোষ l
পি কে হালদার ১৪ মে কলকাতায় ধরা পড়ার পর তাকে প্রথমে তিন দিন পরে ১০ দিন সহ দুই দফায় রিমান্ডে নেয় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৭ মে,২০২২) তাদের স্পেশাল সিবিআই আদালতে তোলা হয়।
একই অভিযোগে আটক আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকেও দশ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আদালতে তোলা হয়l আদালত শুনানি শেষে তাদেরকে সবাইকে আগামী সাত জুন পর্যন্ত জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পি কে হালদারকে প্রয়োজনে কারাগারেই আরো জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করে ইডি। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেছে l এই সময়ের মধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে পারবে ইডি।
ইডি জানায় বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে পি কে হালদার। সেই টাকা তিনি কোথায় বা কোন দেশে কি কি কাজে লগ্নি করেছেন তা ইডি কর্মকর্তারা জানতে পারেননি। তদন্ত কর্মকর্তারা অনুমান করছেন পিকে বাংলাদেশ থেকে হাওলার মাধ্যমে আনুমানিক সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা এনেছেন। সেই টাকায় তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে চারটিরও বেশি আলীশান বাড়ি করেছেন। নামে বেনামে একাধিক স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি করেছেন।
পিকে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা এখন পর্যন্ত ১ কোটির মতো রুপি উদ্ধার করেছেন। বাকি অর্থ তিনি কোথায় রেখেছেন তার কোন সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছেনা।
তবে ইডির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পি কে হালদার বাংলাদেশী প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদের নাম বলেছেন। তিনি বাংলাদেশের একটি টিভি চ্যানেল পরিবহন কোম্পানী ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান। সে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।
সূত্রটি আরো বলেছে, পি কে হালদারের আত্মসাৎ করা অর্থের বিশাল অঙ্কের একটি ভাগ গেছে ওই ব্যক্তির পকেটে। পিকে হালদার বাংলাদেশের ওই ক্ষমতাধর ব্যাক্তির ছত্রচ্ছায়ায় ছিলেন। ১৪ মে পিকে হালদার কলকাতায় ধরা পড়েছে এমন খবর শুনে তিনি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে সটকে পড়েছেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে ২৭,২০২২//

Discussion about this post